পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अर्वांग्ल-भांश 8&G ৮। ক্রিয়াযোগসার-পদ্মপুরাণের একাংশের অনুবাদ। অনুবাদক শ্ৰীঅনন্তরীমশৰ্ম্মা, শ্লোকসংখ্যা ১ • • • । লেখক শ্ৰী রাঘবেন্দ্র রাজা ; হস্তলিপি ( ১৬৫৩ শক) ১৭৩১ খৃঃ অব্দ। এই পুস্তকগুলি আমার নিকট কতকদিনের জন্য ছিল। ইহা ছাড়া রঘুবংশের অনুবাদ, বেতালপঞ্চবিংশতি, বায়ুপুরাণ, গরুড়পুরাণ, কালিকাপুরাণ প্রভৃতি প্রায় সকলগুলি পুরাণের অনুবাদ ও অন্যান্য ক্ষুদ্র অনেকগুলি হস্তলিখিত পুথি আমরা দেখিয়াছি। শ্ৰীযুক্ত বাৰু অক্রুদ্রচন্দ্র সেন মহাশয় রামনারায়ণ ঘোষের অতি সুন্দর নৈষধ-উপাখ্যান সুধম্বা-বধ, ধ্রুব-উপাখ্যান প্রভৃতি কতকগুলি পুথি সংগ্ৰহ করিয়াছেন। ইহাদের প্রায় সকলগুলির রচনাই একরূপ। রচনা সরল, মধ্যে মধ্যে কোমল কবিত্বনিক্কনে মৃদুমন্দ মুখরিত । বলা বাহুল্য, এই সব পুস্তক বঙ্গভাষায় সংস্কৃতশব্দ ও উপমারাশি বহুল পরিমাণে আমদানি করিয়াছে। এই যুগের শ্ৰেষ্ঠ অনুবাদলেখক কাশীদাসের রচনায় যে যে গুণ দৃষ্ট হয়, পূর্বোক্ত অনুবাদ পুস্তকগুলিতে নৃত্যুনাধিক পরিমাণে সেই সকল গুণ লক্ষিত হইবে। এই অগণ্য পুস্তকরাশির সুশৃঙ্খল খাদ্যোত-দীপ্তি নিবিড় সাহিত্য-ইতিহাসে তাৎকালিক রুচি ও ভাবের আভাস দেখাইতেছে, তাহা অনুসরণ করিতে করিতে আমরা কাশীদাসের প্রতিভার সন্নিহিত হইয়া পড়ি। পুথিগুলি হইতে কিছু কিছু নমুনা উদ্ধৃত করা উচিত, নিয়ে আমরা কিছু কিছু অংশ তুলিয়া দেখাইতেছি ;- ( ১ ) প্ৰহলাদের স্তব-“ধ্যান করিয়া প্ৰহলাদ বলে উচ্চৈঃস্বরে। চন্দ্ৰ সুৰ্য্য জিনিয়া যে শ্যামরূপ ধরে। কিরীটি কুণ্ডল । হার বসন সুন্দর। বিজলীমণ্ডিত যেন নব জলধর। পীতৰাস পরিধান চরণে নুপুর। পদানখদীপ্তি কোটী চন্দ্র করে দূর। চতুভুজ শঙ্খচক্ৰ গদাপদ্ম করে। অঙ্গেতে কৌস্তুভ মণি মহা দীপ্তি ধরে ৷ “-প্ৰহলাদ চরিত্র, যে, গ, পুথি ; ৯ পত্ৰ। ( ২ ) পরশুরামের বর্ণনা-“হেনকালে আসিলেন পরশুরাম বীর। দৈত্য দানব জিনি নিৰ্ভয় শরীর ৷ বাম হন্তে ধরে ধনু দক্ষিণ হস্তে তোমার। পৃষ্ঠেতে বিচিত্ৰ টোণ অতি মনোহর। টোণের ভিতরে বাণ জ্বলন্দগ্নি যেন। এক এক শর মুখে যেন কালযম। সুবৰ্ণ তনু লোচন লোহিত। অঙ্গ হৈতে তেজ ক্ষরিত ৷ লম্বিত পিঙ্গল জটা পরশিছে কটি। রঘুনাথে দেখি করে হাস্য খটখটি ॥”-পরীক্ষিৎ-সংবাদ, বে, গ, পুথি, ২৩ পত্র । (৩) শ্ৰীকৃষ্ণের উক্তি-“আমি ব্যাধিরূপ হৈয়া দেই দুঃখ ভোগ। আমি ঔষধ হৈয়া খণ্ডাব সেই রোগ। আমি গয়া আমি গঙ্গা আমি বারাণসী। কীট পতঙ্গ আমি, আমি দিবানিশি। আমি পণ্ডিতরােপ আমি মুর্থসম। আমি সে সকল করি। উত্তম অধম । আমার নাশ নাই আমি করি নাশ । কাম ক্ৰোধ লোভ মোহ আমারই প্ৰকাশ ॥”-পরীক্ষিৎসংবাদ, ১৪। পত্র। এইরূপ ভাব বাঙ্গালার পল্লীকবির রচনায় পাওয়া যায়-ইহা উন্নত অদ্বৈত-তত্ত্বের কথা ; যে শুভাশুভ ব্যাখা করিতে অন্যান্য ধৰ্ম্মে শুভ ঈশ্বরের সঙ্গে পাপ-স্রষ্টা অপর এক ঈশ্বর কল্পিত সেই শুভাশুভ বোধ আমাদের ভ্রান্তির উৎপত্তি ; শুভ এবং অশুভ মায়াশ্ৰিত অনন্ত পুরুষের ব্যাপক মহিমার প্রসার ; মুৰ্থ পণ্ডিত, রোগ ও ঔষধ ইঙ্গিতে একে অন্তকে দেখাইতেছে, ইহার একই ( 8 ठाष्ट्रश्राम अंश्लभ८ला5न ।