পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবাদ-শাখা 8S রাজা জয়নারায়ণ। এই থানে সমাপ্ত করিলা বিবরণ। তঁহার আদেশক্রমে কিতাব করিয়া। রামতনু মুখোপাধ্যায় লাইল লিখিয়া ৷ সেই বহি দৃষ্টি করি নকলনবিসী। কৃষ্ণচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায় চাতরা নিবাসী৷” હરે অনুবাদ সঙ্কলন করিতে অনেকগুলি পণ্ডিত খাটিয়াছিলেন, ইহা এখনকার পণ্ডিতমণ্ডলীর নৃসিংহদেবের সাহায্য, কাশী উপেক্ষণীয় না হইতে পারে। द्रांख्रि अशिन्द्राभ्रंद्र गांशषJकोंड्री श्रt७द्र यभूपा । নৃসিংহদেব একজন কবি ছিলেন, তঁাহার রচিত কয়েকটি সুন্দর শু্যামাসঙ্গীত আমরা দেখিয়াছি। নৃসিংহদেবের সন্তানগণ এখন হুগলী বাশবাড়িয়া গ্রামে বাস করিতেছেন। উদ্ধত অংশ দৃষ্টে বোধ হয়, নৃসিংহদেব অনুবাদকাৰ্য্যে মহারাজকে বিশেষ সাহায্য করিয়াছিলেন, কিন্তু পুস্তকের সর্বত্র জয়নারায়ণের ভণিতা দৃষ্ট হয়। কাশীখণ্ডের অনুবাদ ১১২০ ০ শ্লোকে পুর্ণ। ইহার প্রত্যেক অধ্যায়ে কত শ্লোক আছে, তাহা অধ্যায় শেষে প্ৰাচীন রীতি অনুসারে একটি প্ৰহেলিকার সঙ্কেতে জ্ঞাপন করা হইয়াছে। কিন্তু পুস্তকের মূলভাগ হইতে পুস্তকশেষে যে কাশীর বর্ণনা দেওয়া হইয়াছে, তাহার মূল্য বেশী। রাজাবাহাদুরের লিপিকৌশল-তাহার সত্যপ্রিয়তা। তাৎকালিক কাশীর যে চিত্র তিনি দিয়াছেন, তাহা একশত বৎসরের যবনিকা তুলিয়া অবিকল কাশীর মুক্তিটি আমাদের চক্ষে অঙ্কিত করিয়া দিতেছে ;-কালে এই চিত্রের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ক্রমে আরও বৃদ্ধি পাইবে ; তখন ম্যাণ্ডিভাইলের জেরুজিলাম, ব্যাসের ব্ৰহ্মাণ্ড-খণ্ডের প্রাচীন কাশী, হিউনসাঙের কুশীনগর এবং নরহরি চক্ৰবৰ্ত্তীর বৃন্দাবন ও নবদ্বীপের চিত্রপটের সঙ্গে কাশীর এই মানচিত্ৰখানি এক স্থানে রক্ষিত হইবার উপযুক্ত হইবে। কবি গঙ্গার অৰ্দ্ধ গোলাকৃতি তীরের উপর বক্রভাবে স্থিত কাশীকে মহাদেবের কপালের অৰ্দ্ধচন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করিয়া বৰ্ণনা আরম্ভ করিয়াছেন। প্ৰথমে অসি-ঘাট, পরেশনাথের ঘাট, সাজাদার ঘাট, বৈদ্যুনাথের ঘাট, নারদপাড়ের ঘাট, প্ৰভৃতি ৫৩টি ঘাটের এক ক্ষিপ্ৰ বৰ্ণনা দিয়া লইয়াছেন, তন্মধ্যে তাহদের আয়তন, গঠনপ্রণালী ও তৎসম্বন্ধে চলিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমোদপূর্ণ জনশ্রুতির উল্লেখ আছে। তৎপরে পোস্তাগুলি, তাহদের সংখ্যাও কম নহে। সূচিপত্রের সঙ্গে দুই একটি কৌতুলোদ্দীপক কথা থাকিলে তাঁহাদের নীরসন্তা ঘোচে, রাজাবাহাদুরের রচনারও ইহাই গুণ ; পোস্তাগুলির মধ্যেSuDD DBKBDBBD DBBBD DBB SS SBYS DBD DB BBDSBEE S BBD BB DB BDBBDDSSYEE S পোস্তাগুলির পরে “ঘাটিয়া” ব্ৰাহ্মণদিগের কথা ; স্বানান্তে লোক সমূহের কপালে তিলক কাটিয়া দেওয়া ইত্যাদি ইহাদের কাজ। কলিকাতা গঙ্গার ঘাটে উড়িয়া মহাশয়গণ এই কাজ করিয়া থাকেন, অৰ্দ্ধ পয়সার তৈল খরিদ করিয়াই সুন্নানকারী ইহাদের “ফজমান অ” হইয়া বসেন। তৎপরে অদ্ভালিকাগুলির বর্ণনা ; দ্বিতল, ত্রিতল ও চৌতলের সংখ্যাই বেশী। কিন্তু-"কদাচিৎ , ছয়তলা সাতত্তলা কাশীর চিত্ৰ ।