অনুবাদ-শাখা 9 OS দেখিতে যাইবেন । কাশীবাসিনী ধৰ্ম্মপ্রাণ রমণীগণের বর্ণনা আছে, তাহাদিগের ধৰ্ম্মব্ৰতানুষ্ঠান ও গঙ্গাসুনাদির পরে রূপবর্ণনা-“গণ্ডারের চুড়ি কারু কনকে রচিত। ঘোর ঘন মাঝে যেন তড়িত জড়িত ৷ কি উপমা দিব যেই পিঠে দোলে বেণী । অখণ্ড কদলী দলে বিহারে লাগিনী ।” তাহদের নোলকে-“বড় দুই মুক্ত মাঝে চুপি শোভা করে। যেমত দাড়িম্ব বীজ শুক চন্ধু ধরে।" কিন্তু এই বিষয় কবিকে হঠাৎ প্রলুব্ধ করিতে পারে। কবির চিত্তে যেন একটুকু অসংযম আসিয়া পড়িয়াছিল—“কারু উরাদেশে মুক্তামােলার দোলানী। হিমাচলে আন্দোলিত যেন মন্দাকিনী ।” কিন্তু সতর্ক লেখক ८गशृंौएक न९शऊ दरुद्रिष्ठ कनिष्ठन“এসব দূর্শনে ভক্তি মনেতে হইবে। কদাচিত অন্তভােব মনেতে নহিবে।” ইহার পক্ষে কাশীবাসী নানা জাতির অনুষ্ঠিত ধৰ্ম্মোৎসব, বার মাসের নানারূপ ব্যাপারাদি বর্ণিত আছে। “তুলসী-বিবাহ” সেই সময়ে কাশীর একটি বৃহৎ উৎসব ব্যাপার ছিল--রামলীলা, দুর্গালীলা, প্রভৃতি যাত্রা সর্বদা অনুষ্ঠিত হইত। কাশীখণ্ডের যে পুথিখানি আমার নিকট আছে, তাহা প্ৰেমানন্দের হস্তের লেখা। ইহার হাতের লেখা মুক্তার ন্যায় গোটা গোটা ও পুষ্পিত লতার ন্যায় নানা ভঙ্গীতে ক্রীড়াশীল ; এই লেখার সর্বত্রই ‘ব’ অক্ষরটি ‘র’এর মত লিখিত হইয়াছে — ইহা মিথিলার ধরণে। প্ৰেমানন্দের হস্তের নকল আরও কতকগুলি পুথি আমার নিকট আছে—কাশীখণ্ডের হস্তলিপি। ১৮০৯ খৃঃ অব্দের । সর্বশেষে প্ৰেমানন্দ নিজ রচিত দুইটি গান “দিয়াছেন, তাহা বৈষ্ণবীয় মাধুৰ্য্য-মাখা দুৰ্গা বন্দনা। এই পুথি দেখিয়া সাহিত্য পরিষৎ কাশীখণ্ড মুদ্রিত করিয়াছেন । এস্থলে আমরা সংক্ষেপে কবি জয়নারায়ণের জীবন কাহিনী বিবৃত করিব। কবির পুর্বপুরুষ গণের তালিকা নিম্নে দেওয়া যাইতেছে-১ ৷৷ যদুনাথ পাঠক, ২ । গোপীকান্ত, ৩। রামকৃষ্ণ, ৪। রাজেন্দ্র, ৫ । বিষ্ণুদেব, ৬। কন্দৰ্প । কন্দৰ্পের ৩ পুত্র,-১। কৃষ্ণচন্দ্ৰ, ২। গোকুলচন্দ্ৰ, ৩। রামচন্দ্র। রামচন্দ্রের অল্প বয়সেই মৃত্যু হয়। গোকুলচন্দ্রের ৫ পুত্র,-১। বৃন্দাবনচন্দ্র, ২। রামনারায়ণ, ৩। হরিনারায়ণ, ৪ । লক্ষ্মীনারায়ণ ৫ । গঙ্গানারায়ণ। এই পঞ্চ পুত্রের কাহারও বংশ রক্ষিত হয় নাই। কৃষ্ণচন্ডের একমাত্র পুত্ৰ জয়নারায়ণ ঘোষাল। যদুনাথ পাঠক “দেশাধিপ” হইতে গোবিন্দপুর, গড়্যা, বেহালা প্ৰভৃতি স্থানে বিস্তর ভূসম্পত্তি প্রাপ্ত হন। কবি জয়নারায়ণ ঘোষালের পুত্র রাজা কালীশঙ্কর ঘোষাল তাহার পিতৃদেবের জীবনাখ্যান উৎকীর্ণ করিয়া একখানি সুবৃহৎ তাম্রফলক প্ৰস্তুত করিয়াছিলেন, তাহাতে জয়নারায়ণ ঘোষালের জীবনী অতি বিশদরূপে আখ্যাত হইয়াছে। এই তাম্রফলক হইতে জানা যায়, ১১৪৯ সালে ৩রা আশ্বিন জয়নারায়ণের জন্ম হয়; তিনি অল্প বয়সেই সংস্কৃত, পার্শী, হিন্দী, ইংরাজী এবং ফরাসী ভাষায় বুৎপত্তি লাভ করেন। বাং ১৯১২ সনে জয়নারায়ণ মোবারেক डेव्गिांव्र अशैौन কাশীখণ্ডেরপুথি ।
- কবির পরিচয় ।
