পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায়ের পরিশিষ্ট 8 ዓÖ আন্দাজান গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হন। যাদবেন্দ্র রায়ের মৃত্যুর পর বাফলার জমিদারগণ কর্তৃক উৎপীড়িত হইয়া কবি যে শ্লোকটি রচনা করিয়াছিলেন, তাহার একাদ্ধ এখনও তােদশে প্রচলিত আছে,- “ধাদবেন্দ্রবিহীনেয়ং বাফল নিস্ফলা গতা।” । শ্ৰীযুক্ত রসিক চন্দ্ৰ বসু অনুমান করেন - জগন্নাথ-পুত্র রূপনারায়ণ খৃঃ ১৫৯৭ কিম্বা তৎসন্নিহিত কোন সময়ে জন্মগ্রহণ করেন। কবি রূপনারায়ণের কৃত অনুবাদখানিতে র্তাহার সংস্কৃত শাস্ত্রে বুৎপত্তির যথেষ্ট পরিচয় আছে, ইহাতে দশনের সহিত দাড়িম্ব বীজের, কম্বুৱ সহিত কণ্ঠের এবং কর্ণের কুণ্ডলের সঙ্গে মদনের রথচক্রের উপমা আছে—“যে রথ আরোহি মদন বীর। জিনিল পিনাকপানি ধীর।-শেষের উপমাটী একটু নূতন হইলেও উহা সংস্কৃত অলঙ্কার শাস্ত্ৰ হইতেই আহৃত। কবি, কালিদাসের রঘুবংশ পড়িয়াছিলেন, মার্কণ্ডেয় মুনির খাতায় সে বিদ্যারও উজ্জ্বল দীপ্তি পড়িয়াছে, যথা, —“গুণের গরিমা তার কে পারে বণিতে। দুস্তর সাগর চাহি উডুপে তরিতে ৷ এাংশুগম্য মহাফল লোভের কারণ। হাতে পাইতে ইচ্ছা করয়ে বামন। পরস্তু ভরসা এক মনে ধরিতেছে। বাজবিদ্ধ মণিতে সুত্রের গতি আছে৷” “পরস্তু।” আমাদেরও বিশ্বাস এই যে রূপ বর্ণনা করিতে যাইয়া যদি মূল্যবহিভূত অতিশয়োক্তির আড়ম্বর একবারে পরিহার করিতেন, তবেই ভাল হইত, এবং তাহা হইলেও তঁাহার সংস্কৃত কাব্যশাস্ত্রে প্রবেশ আছে, আমরা এ কথা কখনই অস্বীকার করিতে পারি তাম না । গৃহিণীগণ এত অলঙ্কার প্রদর্শনাভিলাষী হইয়া তো কখনও অন্নব্যঞ্জনের সঙ্গে দুই একটি স্বর্ণ-দানা কিংবা মুক্তা বঁাধিয়া বসেন না। ;- সেগুলি দেখাইবার স্থান ও সুবিধা বিবেচনা করা আবশ্যক, প্ৰাচীন কবিগণের অনেকেরই সেই জ্ঞানটির অভাব। “যেখানে যেটি”-ইহা কবি হইতে সামান্য মুটে মজুর সকলেরই কাৰ্য্যের সুত্র হওয়া উচিত । শিশুরামদাস নামক এক লেখক এই সময় প্ৰভাসখণ্ডেন্ন অনুবাদ করেন, তঁহার পরে ঈশ্বরচন্দ্র সরকার প্রভাসখণ্ডের আর একখানি অনুবাদ সঙ্কলন elieve করিয়াছিলেন । অষ্টম অধ্যায়ের পরিশিষ্ট । অষ্টম অধ্যায়ে বর্ণিত কাব্যগুলিতে বাঙ্গালা দেশের আচার ব্যবহার সুচিত্রিত আছে। কবিকঙ্কণের চণ্ডী সেই সমাজের একখানি সুনিৰ্ম্মল দর্পণের ন্যায় পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বঙ্গীয় গাৰ্হস্থ্য জীবন প্ৰতিফলিত করিতেছে। সেই সময়ে যুদ্ধ 事 its fig

  • পরিষৎ পত্রিকা, ২য় সংখ্যা, ১৩০৪ সাল, পৃঃ ৭৭ ৷৷