পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায়ের পরিশিষ্ট 8ዓዓ ব্রহ্মোত্তর জমি দান করিতেন ও অনেক সময় কৃষকদিগকে লাঙ্গল ও চাষের বলদ প্ৰভৃতি দান করিয়া গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিতেন। রাজাদিগের দৌরাত্ম্যও রাজ-প্ৰসাদের তুল্যই অপরিমিত ছিল ; বাজারে পণ্যজীবিগণ রাজকৰ্ম্মচারীদিগের ভয়ে অস্থির থাকিত, আমরা ভঁাডুন্দত্তের প্রসঙ্গে তাহা দেখাইয়াছি। অনেক রাজার ধৰ্ম্মবিশ্বাস ও বিনয় ইতিহাসে দৃষ্টান্তস্থলীয়, সচরাচর ব্রহ্মোত্তর দানপত্রে এইরূপ বিনীত প্রার্থনা পাওয়া যায়,-“যদি আমার বংশের অধিকার লুপ্ত করিয়া অন্য কেহ এই রাজ্য লাভ করেন, তবে DBB BBDB DBBD DD ggg DDD DBDDBD DBDBD D DBS DBB BDBDB BBDDBBD BB Dt DBDBDD S সাধারণতন্ত্র রাজশাসনে মোটের উপর অপেক্ষাকৃত ন্যায় বিচার অধিক লাভ করা যায়, কিন্তু স্বেচ্ছাচারী রাজা উৎকৃষ্ট চরিত্র হইলে তঁহার শাসনে পৃথিবী স্বর্গের ন্যায় হয়। কবিকঙ্কণচণ্ডীতে দুৰ্ব্বলার বাজার করার যে বিবরণ প্রদত্ত হইয়াছে, তাহাতে দৃষ্ট হইবে, সে সময়ে জিনিষপত্র সমস্তই অতি সুলভ মূল্য ছিল ; মাধবাচাৰ্য্যের চণ্ডীতে প্রদত্ত ফৰ্দে তদপেক্ষাও সুলভ মূল্য দৃষ্ট হয়, পূর্ববঙ্গের বাজারে জিনিয্যের মূল্য আৰও সস্তা ছিল বলিয়া বোধ হয়। ভদ্রলোকগণ তখন সাধারণতঃ পাদুকা ব্যবহার করিতেন না। ভদ্রলোক অতিথি কোন গৃহস্থের বাড়ীতে উপস্থিত হইলে প্রথমেই র্তাহাকে পা ধুইবার জল দিয়া সম্ভাষণ করিতে হইত ; বহু কষ্টে একটি জলপূৰ্ণ গাড়ীর সাহায্যে কাদা ধুইয়া ফেলিয়া ভদ্রলোকগণ “গাস্তারীর পীড়া” চাপিয়া বসিতেন, এবং কখনও আহারান্তে একটি অৰ্দ্ধখণ্ডিত গুবাক চর্বণ করিয়া মুখ শুচি করিতেন। খুব ভাল অবস্থাপন্ন ব্যক্তিগণ রাত্রিতে শয়ন-প্রকোষ্ঠে যাইবার পূর্বে ভাল করিয়া পা ধুইয়া পাদুকা। পরিয়া শয্যায় যাইতেন, ধনপতি লক্ষেশ্বর ব্যক্তি, তিনি শুইবার পূৰ্ব্বে-"চরণে পাদুকা দিয়া করিল গমন। পদ্মনাভ স্মরি সাধু করিলা শয়ন৷” স্ত্রীলোকগণ অঙ্গদ, কঙ্কণ, কর্ণপুর প্রভৃতি নানারূপ সোণার অলঙ্কার পরিতেন, নানা ছন্দে খোপা বাধিতেন, ও “মেঘডুম্বুবা” শাড়ী এবং কঁচুলি পরিতেন ; নিকৃষ্ট শ্রেণীর স্ত্রীলোকগণ “ক্ষুঞ” বা ক্ষৌমবাস পরিত, ইহা একরূপ অল্পমূল্য পট্টবস্ত্র ; মাণিকচাদের গানে দেখিয়াছি গোপীচাঁদের রাজত্বকালে বাদীগণও “পাটের পাছড়া।” পরিত না ; এই “পাটের পাছড়া।” ও “ক্ষুঞাবাস” একই প্রকারের কাপড় বলিয়া বোধ হয়। ভারতচন্দ্ৰ “খুঁয়ে উন্নতি হয়ে দেহ তসরেতে হাত” কথার এই “খুঞা” বস্ত্রের প্রতি নিগ্ৰহ দেখাইয়াছেন। স্ত্রীলোকগণের অঙ্গমার্জনার জন্য আমলকীই সাবানের কাৰ্য্য করিত ; স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে ফুলও অঙ্গরাগের একটি বিশেষ উপকরণ ছিল, বাজারে নানারূপ ফুল বিক্রয় হইত, শ্ৰীকৃষ্ণবিজয় গোপীণীগণের বেশ করার প্রসঙ্গে “কিনিয়া চাপার ফুল কেহ দেহি কাণে” পাইয়াছি। কিন্তু একজন বড় ইংরেজ লেখক “Rude nations delight in flowers” এই উক্তি করিয়া উৎকৃষ্ট নাগকেশর, কুরুবক, চম্পক, পুন্নাগ ও মালতীর জাতি নষ্ট করিয়াছেন ; ९७द्र : { ख्53 Jश ७ বেশ ভুশা।