পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গভাষা ও বঙ্গলিপির উৎপত্তি অপরগুলি নিওলিথিক যুগের-তাহাদের বয়ঃক্রম অনূন ৩০০০ খৃঃ পূঃ । আসাম হইতেও এইরূপ প্রাচীনুক্তাক্ষরমালার নিদর্শন পাওয়া গিয়াছে, এসম্বন্ধে অধ্যাপক ডি, আর ভাণ্ডারকার ফলিকাতা ਵਿਸਥਝ HJLA DBD DBDD DDDBD DBDBBSBBD S DDD DDBiDBDD BDDBDB করিয়াছেন। এই বক্তৃতাটি প্ৰবন্ধকারে প্রকাশিত হইয়া গিয়াছে। তিনি বলিয়াছেন, ফিনিসিয়া ও আবর উপকূলে ভারতীয় লিপির আদি খুজিবার চেষ্টার পূর্বে আমাদের দেশের ভূপ্রোথিত ঐতিহাসিক খণি খুজিয়া বাহির করিতে হইবে । ইজিপ্ট অতি প্ৰাচীন দেশ, কিন্তু ভারতীয় সভ্যতা কত প্ৰাচীন তাহার শেষ মীমাংসা হইতে এখনও বাকী আছে, ইহা নিশ্চিত । যে অক্ষর আজ আমরা অবহেলায় লিখিয়া যাইতেছি তাহা ঐতিহাসিক যুগের নহে; তাহা ইতিহাস-পূর্ব যুগের, তাহা কোন বৃক্ষবস্কলে বা প্ৰস্তরে বা শিলায় প্ৰথম উৎকীর্ণ হইয়া৷ চুল কে বলিবে ? মানুষের স্মৃতিশক্তি যেখানে পরাজয় পাইয়াছে বা পরাজয়ের আশঙ্কা * 33 (S. 53 (2. DDBSS DBDD DDBDBDS DBDBB BBD DBBDDB BDB চাহিয়াকৈ कgद 6का९iाम्न कि उठाgद ऊाश्। উৎকীর্ণ করিয়াছিল তাহ জানিবার উপায় কি ? তাহা খুষ্টের বহুপূর্বে, বৌদ্ধজাতক এবং জরোস্থারুর বহুপুর্বে, এবং লুপ্ত কাহি ॥র পরিষ্কার ইতিহাস কোথাও নাই ; অনুমান এখন এমন জায়গায় দাড়াইয়াছে স্পের্ভোরতীয় লিষ্টার মৌলিকত্ত্বের দাবী আমরা এক কথায় ছাড়িয়া দিতে পারি না। আৰ্য্যবৰ্ত্তবাসীদিগের সর্বাপেক্ষা প্ৰাচীন অক্ষর ব্ৰাহ্মীলিপি নামে অভিহিত । ইহার প্রাচীনতম নিদর্শন অদ্যাপি আবিষ্কৃত হয় নাই। অশোকের অনুশাসনে যে অক্ষর দৃষ্ট হয়, তাহ ব্ৰাহ্মী লিপির এক বিশেষ পরিণত অবস্থা সুচিত করিতেছে। সুতরাং মৌৰ্য-যুগের বহু পুৰ্ব্বে যে এই লিপির প্রচলন ছিল, তৎসম্বন্ধে কাহারও সন্দেহ উপস্থিত হইতে পারে না। কেবল অশোক-অনুশাসন হইতেই স্থানভেদে মৌৰ্যক্ষরের ৩৪টি বিভিন্ন শাখার পরিচয় পাওয়া যায়, ইহা হইতে সহজেই অনুমেয় যে অতি প্ৰাচীনকাল হইতে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে লিপিগত বৈচি, ও স্বাঙ্গু পরিলক্ষিত হইত। মৌৰ্য্যযুগের পরে কুশানযুগে ভারতীয় লিপির অনেক পরিবর্তন হয়। লিপিকাৰ্ব’ বিকাশের ইতিহাসে গুপ্তযুগের প্রভাব সামান্য নহে ; গুপ্তরাজগণের প্রাদুর্ভাবকালে খৃষ্টীয় ৪র্থ ও ৫ম শতাব্দীতে দক্ষিণ, পশ্চিম ও পূর্ব ভারতে তিনটি বিভিন্ন লিপিভাগের প্রচলন ছিল। এতদ্ব্যতীত মধ্য এশিয়া হইতেও গুপ্তলিপির এক স্বতন্ত্র ধারার নিদর্শন পাওয়া গিয়াছে। এই প্রসঙ্গে কাশগড় হইতেঁ^হ বিস্কৃত সুপ্ৰসিদ্ধ বাওয়ার পুথির নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। গুপ্তযুগে উত্তর ভারতের পূর্বাংশে ষে লিপি ব্যবহৃত হইত, কালক্রমে তাহা নানাভাবে পরিবৰ্ত্তিত হইয়া বৰ্ত্তমান বঙ্গাক্ষরের রূপ ধারণ করিয়াছে। খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর শেষ হইতে পূৰ্বদেশীয় লিপির প্রভাব ক্রমশঃ সঙ্কুচিত হইতে থাকে-ইহার প্রমাণ সমসাময়িক বহু লিপিমালার পরিবর্তন ; প্ৰাচীন বঙ্গলিপি ।