পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীতি-শাখা (లివి রামপ্ৰসাদের দুঃখাবাদে সংসারের শত দুঃখের প্রতি ইঙ্গিত থাকিলেও তােহা যে মাতৃ-পাদপদ্মের শরণ व्छेद्व् छूब श्म उांश ८वItब्रद्ध সহিত বলা হইয়াছে। এই নিছক সত্য, এই নির্ভর আত্মোৎসৰ্গময় সঙ্গীত এককালে সমস্ত বাঙ্গালা দেশকে জয় করিয়াছিল। সংসার কাটার বন, ইহা সাফ করিয়া যদি ভক্তির চর্চা করা যায়। তবে মানবজীবন দুঃখময় না হইয়া স্বর্ণপ্ৰসু হইতে পারে। রামপ্রসাদ পুনঃ পুনঃ বলিয়াছেন,-“এমন মানব জন্ম রৈল পড়ে, আবাদ কৈলে ফলত সোনা ।” হাটে মাঠে বাটে এই সকল গানের সুধা হরিরলুটের মত তিনি বিলাইয়া গিয়াছেন। “আমি তঁাহার বিদ্যাসুন্দরের কথা বিশেষ করিয়া বলিব না। পাঠক রামপ্রসাদ ও ভারতচন্দ্রের বিদ্যাসুন্দর মিলাইয়া পাঠ করিবেন, দেখিবেন বামপ্রসাদই ভারতচন্দ্রের আদর্শ। এমন একটি মৌলিক ভাব নাই, এমন কোন কবিত্বেব কথা নাই, গোড়া যাহার রামপ্রসাদ গাঁথিয়া না দিয়াছেন, ভারতচন্দ্ৰ সেই ভিত্তির উপর রং ফি বাইয়াছেন মাত্র। কিন্তু বিদ্যাসুন্দরের বিষয় রাজসভায় খুব প্রিয় হইলেও এবং কৃষ্ণচন্দ্রের পিশা শ্যামসুন্দরের পুত্র রাজকিশোর মুখোপাধ্যায় রামপ্রদাদের মুরুব্বি হইয়া পুস্তক রচনার আদেশ করিলেও যে এই কাব্যের ভাব রামপ্রসাদের ভক্তগণের মনের ভাবের সহিত সঙ্গতি পায় নাই, তাহা স্পষ্ট । এই কাব্যে কবি তাহার মুরুব্বিকে সুখী করিবার জন্য খুবই চেষ্টা করিয়াছেন।--তাহার সমস্ত পাণ্ডিত্য ও কবিত্বেৰ ভাণ্ডার উলটাপালট করিয়া এই কাব্যের গড়নে লাগাইতে, যত্নপার হইয়াছেন ; অনেক স্থানের অনুপ্রাস, বর্ণনা, পাণ্ডিত্য ও কবিত্ব উচ্চাদরের হইয়াছে। তথাপি মনে হয়। উহা কতকটা কৃত্রিম, উহাতে স্বভাবজ সৌন্দৰ্য্য নাই-আয়াসজাত যত্ন আছে, বাহিক সমৃদ্ধি আছে-কিন্তু ভিতরটা ফাকা । বোধ হয়। এই পরিশ্রমের পর কবি গান রচনা করিতে যাইয়া স্বাভাধিক স্মৃত্তি ফিরিয়া পাইয়া লিখিয়াছেন “গ্রন্থ যাবে গড়াগড়ি গানে হব ব্যস্ত।” সেই গ্ৰন্থ তাহার বৃথা পাণ্ডিত্যের অসার কীৰ্ত্তি-ঐ গানগুলিই যে র্তাহার ও সমস্ত বঙ্গদেশের প্ৰাণের বস্তু, তাহার মূল্য তিনি নিজে অবশ্যই বুঝিয়াছিলেন। “আমরা দেখাইয়াছি রামপ্রসাদ পরবত্তী গীতি-সাহিত্যের দুঃখাবাদে কি অপূৰ্ব-প্রেবণা দিয়াছিলেন, এবং তঁহার দুঃখবাদ কি অপূৰ্ব্ব ভক্তি ও প্রেমের রসধারায় স্নাত। রামপ্রসাদের ন্যায় মা মা বলিয়া এরূপ করুণ কান্না, মায়ের সঙ্গে এরূপ দুষ্টুমি ও আবদার, মায়ের উপর অফুরন্ত নির্ভর, SkD BB DD DD D0DD DDES EE BDBBBD DBD D DDDDD DDBS BDD DDYDBBDBDS শিশু-জগতের সাধনার রাজ্যে আর কোথায় মিলিবে ? “তারপরে রামপ্রসাদই আগমনী গানের প্রথম কবি। তৎপূর্বে উমা ও মেনকা লইয়া বাৎসল্য রসের ধারা কোন কবি বঙ্গসাহিত্যে বহাইয়াছেন বলিয়া আমরা জানি না। “গিরি, আমি প্ৰবোধ দিতে নারি উমারে, উমা কেঁদে করে অভিমান, নাহি খায় ক্ষীর ননী সরে । অতি অবশেষ নিশি,