পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 दथै'ओक्षिा ७ मििश्ॐj পারে না। ব্যাকরণকে অগ্ৰাহা করিয়া ভাষা রূপান্তর গ্রহণ করে। ব্যাকরণ যুগে যুগে ভাষার পদাঙ্কস্বরূপ পড়িয়া থাকে। ভাষা যে পথে বহিয়া যায়, ব্যাকরণ সেই পথের সাক্ষী মাত্র। বিলুপ্ত, মাহেশ ব্যাকরণের পর পাণিনি, তৎপর কাত্যায়ন-বাৰ্ত্তিকাকার বররুচি, যাস্ক ; ইহাদের*প রূপসিদ্ধি, লঙ্কেশ্বপ, শাকল্য, তারত, কোহল, ভামহ, বসন্তরাজ, মার্কণ্ডেয়, ক্রমদীশ্বর, মৌগিলায়ন, শিলাবংশ-ইহারা ব্যাকরণ রচনা করেন। পূৰ্ববৰ্ত্তী যুগে যাহা ভাষার দোষ বলিয়া, কীৰ্ত্তিত, পরবর্তী যুগের ব্যাকরণে তাহাই ভাষার নিয়ম বলিয়া স্বীকৃত। তাই পাণিনির নিয়ম অগ্ৰাহা করিয়াও “মহাবংশ’ ও “ললিতবিস্তর” শুদ্ধ বলিয়া গণ্য, এবং বররুচির নিয়ম অগ্রাহ করিয়াও চাদ কবির গাথা কি “চৈতন্য চরিতামৃত” নিন্দনীয় হয় নাই । সময় সম্বন্ধে যেরূপ প্ৰাতঃ, সন্ধ্যা, রাত্রি,-ভাষা সম্বন্ধেও তদ্রুপসংস্কৃত, প্ৰাকৃত, বাঙ্গালা বা হিন্দী ; পূৰ্ববৰ্ত্তী অবস্থার রূপান্তর। বঙ্গভাষা আমরা এখন যেরূপ ਚਰ মুখ্য চিহ্নগুলি কোন সময়ে গঠিত হইয়াছিল, তাহার নিরূপণ সহজ নহে। বঙ্গভাষা, জননীর গর্ভ হইতে শিশুর ন্যায় কোন শুভ লগ্নে ভূমিষ্ঠ হয় নাই। বহুদিন হইতে ক্রমে ক্ৰমে ইহার বর্তমান রূপ গঠিত হইতেছিল। কথিত ভাষা, ব্যাকরণশাসিত ‘লিখিত’ প্ৰাকৃত হইতে বহু দূরে আসিয়া পড়িল-কিন্তু এক দিনে নহে। হয়নিলি সাহেবের মতে ৮০০ খৃঃ হইতে ১২ • ০ খৃঃ অব্দের মধ্যে প্ৰাকৃতের যুগ লুপ্ত ও গৌড়ীয় ভাষাসমূহের যুগ উদ্ভূত হইয়াছিল। বৌদ্ধ-শক্তির পরাভাবে, হিন্দুধর্মের পুনরুত্থানে, হিন্দুজাতির নব চেষ্টার স্মরণে ও সংস্কৃতের নববিকাশে, সেই পরিবর্তন এত দ্রুত হইল,-প্ৰাকৃতের সঙ্গে কথিত ভাষার প্রভেদ এত বেশী হইল যে, প্ৰাচীন ভাষাকে বিদায় দিয়া, কথিত গৌড়ীয় ভাষাগুলিকে লিখিত ভাযার সিংহাসনে প্ৰতিষ্ঠিত করিতে হইল। ইতিহাসেও বৌদ্ধাধিকারের লোপকাল ও হিন্দুধৰ্ম্মের পুনরভুত্থানকাল ৮০০ খৃঃ হইতে ১২০০ খৃঃ অব্দের মধ্যে বলিয়া বর্ণিত আছে। বঙ্গভাষার ক্রমবিকাশ