পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংস্কৃত, প্ৰাকৃত ও বাঙ্গালা S Ꮔ আরব্ধ হইল। খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীতে আজমীরের রাজপুত্র সারঙ্গদেব বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াআছিলেন,-কিন্তু তদীয় পিতা রাজা বিশালদেব হিন্দুশাস্ত্ৰ শুনাইয়া তাহার মতি-গতি পরিবর্তন করিলেন। চাদকবি তাহার বর্ণনা করিয়াছেন। (১) পাঠক দেখিবেন, রাজা বৌদ্ধধৰ্ম্মকে “নষ্ট জ্ঞান” আখ্যায় অভিহিত করিয়াছেন। সংস্কৃতের আদর্শ ভাষাক্ষেত্রে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হইলে, লিখিত ও কথিত ভাষা উভয়ই উত্তরোত্তর এতিয়া এবং বিশুদ্ধ হইতে লাগিল। ‘লাম' পুনরায় রাম হইলেন। রত্নাকর দম্ব্যর দেশে উহার প্রভাব। - উচ্চারণ সংশোধন সম্বন্ধে লৌকিক বিশ্বাস কৃত্তিবাস লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, — “পাপে জড় জিহ্বা রাম বলিতে না পারে। কহিল আমার মুখে ও কথা না ক্ষুরে। শুনিয়া ব্ৰহ্মার তবে চিন্ত হইল মনে। উচ্চারিবে রাম নাম এ মুখে কেমনে। মকর করিলা অগ্রে রা করিল শেষে। তবে বা পাপীর মুখে রাম নাম আইসে। ব্ৰহ্মা বলিলেন তারে উপায় চিন্তিয়া। মানুষ মরিলে বাপু ডাক fs বলিয়া ৷ শুনিয়া ব্ৰহ্মার কথা বলে DDDS SDDTD KBD BB DO DBD DBD SS DO BD DBD DBD BK अविभ्रम । তব মুখে তখনি স্ফরিবে রাম নাম। শুষ্ক কাষ্ঠ দেখিলেন বৃক্ষের উপরে। অঙ্গুলি ঠারিয়া ব্ৰহ্মা দেখান ডাহারে ৷ বহুক্ষণে, রত্নাকর করি অনুমান। বলিল অনেক কষ্টে মরা কাষ্ঠ খান। মরা মরা বলিতে আইল রাম-নাম। পাইল সকল পাপে মুনি পরিত্রাণ। তুলা রাশি যেমন অগ্নিতে ভস্ম হয়। একবার রাম-নামে সর্বপাপক্ষয় ৷ • কৃত্তিবাসী রামায়ণ, আদিকাণ্ড । পরস্বহারকা দসু্যর জিহ্বা পাপে জড়, তাহার মুখে রাম-নাম বিকৃত হয় । ইহাতে বৌদ্ধদিগের প্রতি একটু কটাক্ষ আছে। ব্ৰহ্মার (না ব্ৰাহ্মণের ?) এত দোহাই ও যত্নের সহিত এই নূতন উচ্চারণশিক্ষা দিবার পর আর কোন চাষা রামকে ’লাম’ বলিতে সাহস করিবে ? এই ভাবে লকারের প্রভাব লুপ্ত হইল এবং চালুদত্ত, লাম, লাবণ, দলিদ স্থলে চারুদও, রাম, রাবণ, দরিদ্র পুনরায় কথিত ভাষায় ফিরিয়া আসিল । সংস্কৃতানুযায়ী বর্ণশোধন কাৰ্য্য অদ্যাপি চলিতেছে প্রাচীন হস্তলিখিত পুস্তকগুলির ভাষা ক্রমশঃ পরিশুদ্ধ হইয়া আসিয়াছে। সেই সব পুথিতে এমন অনেক শব্দ দৃষ্ট হয়, যাহা এখন আর লিখিত ভাষায় ব্যবহৃত হয় না। যথা—পথা • পক্ষ, কাতি • - H - Hr SS SS SSLSLSS SS SSL SSSSS S SS SS SSLS SS SSLLSS SSLSLSS SS SSLSLSSSSSLS SSSS (১) “অতি দুচিত ভয়ে সরাঙ্গ দেব। ণিত প্ৰতি করৈ অবিহিতং সেব। বুধ ধন্ধ লিয়ৈ বঁধে ন তেগ । সুনি শ্ৰবণ রাজ মন ভৈ উদেগা। বুল্লাহ কুবংর সণমাণ কৗন। কিহি কাজ তুমিং ইহ প্ৰহ্ম লীন৷ তুমিং ছংড়ি সরাম হম কহৈ বত। বণিক্ক পুত্র হন তেওঁ দুচিত। ইহ নষ্ট জ্ঞান সুনিয়েণ কাণ । পুরুষাত্তন ভজৈ কিৰ্ত্তী হান। তুম রাজবংশ রাজ নহ সংগ। মৃগয়া সর খেলোঁ বন কুরংগ ৷ পরমোধ ভজো বোধক । পুরান। রামায়ণ সুনহ ভারত নিদান৷ ইত্যাদি। --চাঁদ গাথা। মুণ্ডিত কেশ বৌদ্ধগণ মাথায় পাগড়ী বঁধিতেন না (“বাঁধে ন তেগ”) এইজন্যই বোধ হয় বৌদ্ধ-প্ৰাবল্যের দিনে বাঙ্গালীরা পাগড়ী ত্যাগ করিয়াছিলেন-তদবধি এদেশ হইতে উষ্ণীষ-ব্যবহার উঠিয়া গিয়াছে।