পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Š o პა বঙ্গভাষা ও সাহিত্য কাজল-রেখার চরিত্রের এই নিয়তির প্রতীক্ষাজনিত অতুলনীয় ধৈৰ্য আমরা কমলাৱা চরিত্রে দেখিতে পাই। কমলার ধৈৰ্য্য যেরূপ অপূৰ্ব, তাহার প্রতিভা, মনস্বিতা এবং নারীমৰ্যাদার অভিমানও সেইরূপ অপূর্ব। মাতুলালয় হইতে দৰ্পিতা রমণী ঘনায়িত নৈশ-অন্ধকার ভেদ করিয়া একটি উল্কার মত চলিতেছেন, স্বয়ং পুড়িতেছেন এবং চলিতেছেন। একবার কমলা ভাবিলেন না-সেই নৈশ আঁধারে নিবিড় হাওরের পথে-অজ্ঞাত ও দুঞ্জেয় প্রদেশে সে পন্থাহীন আশ্রয়হীন-কে তাহার সহায় হইবে ? কোথায় রাত্রি কাটাইবে- কোথায় কাহার শরণা লইবে ? নৈশাকাশের নক্ষত্ররাজি তাহাকে একটুকু দীপ্তি দান করিয়া দেখাইল না-তথাপি সে চলিল - হায় বাঙ্গালী যদি শত অপমান মাথায় বরণ না করিষা সেইভাবে চলিতে পারিত, তবে বোধ হয় আশ্রয় পাইত। আমরা প্ৰতি পদে ভীত, কমলা প্রতিপদে নিৰ্ভীক, সে যখন বুঝিল যে গৃহে সে আছে – সেখানে আর তার থাকা চলে না, তখন লাথি গুতো হজম করিয়া পদদলিত কীট হইয়া সেখানে আর পড়িয়া থাকিল না। সে বুঝিল সমস্ত BDB D DDD BD BBBB BBL BD DDD DDD DD S DDDD DBDBDDB BB BDBBDBBB SDD মাতুলালয়ে নিবদ্ধ নহে। --অত্যাচার অপমান না সহিয়া কমলা যে ভাবে অভিমান করিয়াছিল এবং বৃদ্ধ মহিষালের নিকট আশ্রয় চাহিয়াছিল তাহা যেমন করুণ তেমনই মহৎ । এই ধৈর্যশালিনীর ধৈৰ্য্যের সীমা নাই। রাজগৃহে নরবলি হইবে। র্তাহার পিতা ও কনিষ্ঠ সহোদরের বলি হইবে। কমলা তাহা শুনিলেন ; অন্য কোন রমণী হইলে চীৎকার করিয়া রাজপ্রাসাদ ফাটাইয়া দিতেন । কিন্তু কমলা পাষাণ ময়ী বিগ্ৰহ, কঠোর ধৈৰ্য্যের বম্ম পরিয়া রাণীবি পরিচারিকার কাৰ্য্য করিয়া যাইতেছেন। তিনি রাজ্ঞীর গায়ে তৈল মাখাইলেন, তাহার স্নানের জন্য কলসী পূর্ণ করিয়া জল রাখিয়া দিলেন। কালীপূজার ঢাকের শব্দে যখন তাহার বুক ফাটিয়া যাইতেছিলতখনও তিনি বাহিরে স্থির গম্ভীর, এমন কি রাজকুমার কাছে আসিলেও এই নিদারুণ শোক-প্রসঙ্গের কোন কথা তুলিলেন না। রাজসভায় তিনি নিজের মকৰ্দমার উকীল নিজে হইলেন, কিন্তু তাহার বিরুদ্ধে যে সকল জঘন্য ষড়যন্ত্র হইয়াছে—তাহা গৃহস্থ ঘরের লক্ষণশীল রমণী কহিবেন কিরূপে ? তিনি তাহা নিজে কিছুই কহিলেন না। কেবল শৈশব ও কৈশোরে পিতামাতা ও কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে লইয়া যে সুখের জীবন কাটাইথ ছিলেন তাহার মধুর কাহিনী করুণায় অভিষিক্ত করিয়া বৰ্ণনা করিয়া শ্ৰোতৃবর্গের মন বিগলিত করিয়া ফেলিলেন। তৎপর জীবনে যে ভীষণ দুৰ্য্যোগ আরব্ধ হইয়াছিল—তাই প্রমাণ করিলেন-কতক সাক্ষাদিগের কথা দ্বারা-কিন্তু অধিকাংশ চিঠি পত্ৰ দিয়া। রাজসভাৰ তিনি যে কাহিনী বিবৃত করিয়াছিলেন, সান্ধা তারা ও নিজের চােখের জলকে সাক্ষী মান্ত করিয়া যেভাগে পাপিষ্ঠ কারকুণের ভীষণ প্রতারণা ও মিথ্যাচরণকে দিবালোকবৎ স্পষ্ট করিয়া দেখাইয়াছিলেন, ऊश्(७ আমরা একদিকে বড়ঘরের কুল-ললনার পদোচিত মৰ্য্যাদা ও সংযম অপর দিকে মহীয়সী। af55i祀8