পাতা:বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2*ि5ाऊा भऊ,-दिऊखि-ठ् ि७ छ्न्म Š)|C) হইতে আসিয়াছে, তাহা মিত্ৰ মহোদয়, হরনলি, দিট্যাছি ও জাৰ্ম্মান পণ্ডিতগণ দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন। কিন্তু বঙ্গভাষার বিভক্তিগুলি সম্বন্ধে এখনও কেহ সম্পূর্ণরূপে স্থির সিদ্ধান্ত করেন নাই। আমরা এই অধ্যায়ে সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিব । ফরাসী ইত্যাদি ভাষার কবিতায় মিত্ৰাক্ষরযোজনরীতি বর্বর ভাষাবিশেষ হইতে অনুকৃত, এণ্ডেস, এবং হুয়ে এই মত প্রচার করিয়াছিলেন। এই মত এখন একরূপ খণ্ডিত হইয়াছে। গৌড়ীয় ভাষাগুলিও কোন অনাৰ্য্য ভাষা হইতে নিঃসৃত হইয়া সংস্কৃত অভিধানের সাহায্যে পুষ্ট হইয়াছে, এই মতও এখন দাড়াইতে পারিতেছে না। এই সকল মত প্রচারকদিগের যুক্তি-সেক্সপীয়র ও বেকন এক ব্যক্তি, বুদ্ধ কোন লোকবিশেষের নাম নহে, কাশ্মীরাধিপ মাতৃগুপ্ত ও কালিদাস একই ব্যক্তি,-প্রভৃতি মতবাদীদিগের যুক্তির সহিত এক প্রকোষ্ঠে রক্ষিত হইবে কি না বলিতে পারি না। হয় তঃ দুই এক জন গ্রন্থকীট দৈবাৎ কোন প্রাচীন আলমারীর পুথিতে তাঁহাদের বিচিত্র যুক্তিকুহক ও তর্কশক্তির পরিচয় পাইয়া বিস্ময়াপন্ন হইবেন । সম্প্রতি ডাঃ জে, ডি৯4ণ্ডারসন সাহেব এই মতের পোষকতা করিয়া গিয়াছেন। তিনি শব্দের উচ্চারণের হ্রস্ব দীর্ঘতার আলোচনা করিয়া প্ৰমাণ করিতে চেষ্টা পাইতেছেন যে, হিন্দী এবং বাঙ্গালা দুই স্বতন্ত্র রীতিতে উচ্চারিত হইয়া থাকে এবং বাঙ্গালার উচ্চারণ দ্রাবিড় রীতির অনুযায়ী। এই মত প্রথম আমার নিকট যতটা অদ্ভুত বােধ হইয়াছিল, এখন আর তাহা হয় না। SS SS SSLSLSSq SqSLS SqS h - -- .uu- — — —-- . ۔۔۔۔۔۔ সহসা ভ্ৰম জন্মিতে পারে। কিন্তু সংস্কৃতের প্রভাব যতই প্রবল হউক না কেন, ঐ সকল ভাষার ব্যাকরণ তৰ্দ্ধারা পরিবৰ্ত্তিত হয নাই। তাহার উত্তরে ডাক্তার হারুনলি বলেন, আৰ্যগণ বহুকাল আৰ্য্যাবৰ্ত্তে বাস করিয়া সহসা ঘৃণিত অনাৰ্য্যগণের ভাষা গ্রহণ করিবেন। এ কথা বিশ্বাসযোগ্য নহে, ঠাহারা যে দীর্ঘকাল সংস্কৃতজাতীয় পালি ও প্ৰাকৃত ভাষার ব্যবহার করিয়াছিলেন, তাহা বিশেণকাপে প্রমাণিত হইয়াছে এবং নাটকাদির প্রাকৃত দ্বারা ইহাও দৃষ্ট হয় যে, বিজিত অনাৰ্য্যগণও তাহাদিগের প্ৰভুগণের ভাষাই পরিগ্রহ করিয়াছিল। এতাবৎ কাল হিন্দুগণ স্বীয় ভাষা ও ব্যাকরণ অনাৰ্য্যগণের মধ্যেও প্রচলিত রাখিয়া কেনই বা শেসে ঘুণিত অনাৰ্য্য ব্যাকরণের শরণাপন্ন হইবেন ? আর গৌড়ীয় ভাষাগুলির উৎপত্তির সময়ে আৰ্য্যভাষার সুদীর্ঘকালব্যাপী অখণ্ড ব্লাজত্বের পরে যে বিজিত অনাৰ্য্যগণের ভাল| এতদ্দেশে প্রচলিত ছিল, তাহারও কোন প্রমাণ নাই। ইতিহাসে অবশ্য মধ্যে মধ্যে এরূপও দেখা গিয়াছে যে, বিজেতু জাতিগণ বিজিতগণের ব্যাকরণ গ্ৰহণ করিয়াছেন ; যথা, নৰ্ম্মানগণ ইংলণ্ড, আরব ও তুৰ্কীজাতির আধ্যাবৰ্ত্তে এবং ফরাসীগণ গলে ; কিন্তু এই সব স্থলে বিজেতৃগণ বিজিতগণ অপেক্ষা অল্পশিক্ষিত ছিলেন এবং উপনিবেশস্থাপনের প্রারম্ভিকাল হইতেই বিজিতগণের ভাষাপরিগ্রহের সুত্রপাত হইয়াছিল। বহুকাল বিজয়ী জাতি স্বীয় ভাষা ও স্বাতন্ত্র্যাগৌরব রক্ষা করিয়া অসভ্যজাতিগণের নিকট শেষে তাহা বিসর্জন দিয়াছেন, ইতিহাসে কোথাও এরূপ দৃষ্ট হয় না। J A. S. I 872. Part I., No, II., p. 22.