পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.শ্রাবণ, ১২৮৩ ] শিশুবিনয়ন । bሥ ጫ ষ্টিত হন । এইরূপ নানা লোকে নানা প্রকার অসঙ্গত কাৰ্য্য করিয়া থাকেন। অতএব এই সমস্ত অভিনিবেশপূর্বক অহুধাবন করিয়া দেখিলে স্পষ্ট প্রতীত হইবে যে, ইহাতে কতদূর অনিষ্টোৎপাদন হইতে পারে। প্রথমতঃ, যে কোনরূপ প্রবঞ্চন বাক্যে শিশুগণকে সান্তন করা যায়, তাহা মিথ্যা কথা বলিয়। অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে, এবুং সেই মিথ্যাকথন যে পাপকৰ্ম্ম তাহণ উল্লেখ করা বাহুল্যমাত্র। দ্বিতীয়তঃ, কোনরূপ মিথ্য উপায় অবলম্বনপূর্বক কার্য্যোদ্ধার করিলে শিশুর তাহ শিক্ষণ পাইয়ণ নিজ নিজ কার্য্য সাধনকালে যে তদনুরূপ করিবে তাহার আর আশ্চর্য কি ? কথায় বলে “ একবারকার রোগী ও আরবারকার ওঝ ”। অতএব শিশুগণও যে ধাত্রীর ন্যায় শঠতা ও প্রতারণবিষয়ক ওবা হইয়। উঠিবে তাহ কে না স্বীকার করিবে ? তৃতীয়তঃ, যখন তাহারণ পিতা মাতা অথবা ধাত্রীর এরূপ প্রবঞ্চন বাক্য বুঝিতে পারে, তখন আর তাহার বাক্য কিছুমাত্র বিশ্বাস করে না, সুতরাং শিশুকে সান্তন করা কঠিন হইয় উঠে । যাহারণ সৰ্ব্বদ। শিশুসন্তানগণকে লালন পালন করিয়া থাকেন, তাহারণ জানেন ইহার কত সহজে সত্য ও প্রতারণা বুঝিতে পারে । শিশুদিগের নিকট যাহা অঙ্গীকার করা যায় তাহ সৰ্ব্বতেভাবে পালন করা কৰ্ত্তব্য। কোন দোষ করিতে দেখিলে তন্নিবারণার্থে যথোচিত দণ্ডবিধান করা উচিত। দোষের দণ্ডবিধান এবং অঙ্গীকারের স্থলে অঙ্গীকার প্রতিপালন না করিয়া একের দ্বার অপর কার্য্য সিদ্ধ করণ অতিশয় অন্যায় কাৰ্য । যথা, কেনি শিশুকে কছিলাম “ তুমি এই পাঠটা কণ্ঠস্থ কর, আমি তোমাকে একটা উৎকৃষ্ট লাঠিম দিব ।’ সে লাঠিম পাইবার প্রত্যাশয় যৎপরোনাস্তি যত্বসহকারে পাঠাভ্যাস করিতে প্রবৃত্ত ছইল । পাঠাভ্যাস পরিসমাপ্তিকালে আমি তাহকে পুনরায় কছিলাম, * তোমার ওমুক বিষয়ে অত্যন্ত দোষ প্রকাশিত হইয়ছে, অতএব তোমাকে এই লাঠিমটা দেওয়া যাইতে পারে না। ” বিবেচন।