পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ, ১২৮৩ l] স্বাভাবিক সংস্কার । byᎼ তাহাদের প্রত্যেক কার্য্যের প্রতি দৃষ্টি রাখিলেই হইকে, যখন তাহার। কোন বস্তু দর্শন করিয়া বর্ণন করে, তাহ ঠিক বলিতেছে কি ন৷ তৎপ্রতি• কর্ণপাত করা উচিত। যে স্থলে ভুল বর্ণন করে তাহ। তৎক্ষণাৎ ধরিয়া দিলে তাহদের ভুলের দিকে দৃষ্টি থাকে। নচেৎ তাহারণ সত্যকে মিথ্যায় জড়িত করিয়া এরূপ বলিবে যাহাতে সত্য মিথ্যায় কিছুই প্রভেদ থাকিবে না । অনেক প্রতিপালিক। শিশুদিগকে মিথ্যা কহিতে শুনিয়াও তৎপ্রতি অবহেলা করেন, ইহা অত্যন্ত অন্যায়। ইহা অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে যে, সামান্য সামান্য বিষয়ে সত্যভ্রষ্ট হইলে পারণমে কোন না কোন স্থত্রে যে শিশুগণকে কুপথগামী হইতে হইবে তাহাতে আর সন্দেহ নাই । অতএব প্রথম হইতে সতর্ক হওয়া সৎপরামর্শ। বৃক্ষকে প্রথমাবস্থায় যেরূপে হেলান যায়, সে সেইরূপেই থাকে । - , স্বাভাবিক সংস্কার । অনেকে বলিয়া থাকেন, যে পশুর স্বাভাবিক সংস্কার বলেই অণপনাদের সমস্ত কাৰ্য্য অভ্রান্তরূপে নিৰ্ব্বাহ করিতে পারে । মনুষ্য ঐ সংস্কারের অধীন নহে। মনুষ্যের জ্ঞান শিক্ষণ ও বহুদর্শনের ফল। কিন্তু কিঞ্চিৎ অভিনিবেশপূর্বক পশুদিগের কার্যকলাপ আলোচনা করিলে ইহাই স্থিরীকৃত হইবে যে, অনেক বিষয়ে পশুদিগের সহিত মনুষ্যের সোসাদৃশ্য আছে । আমর। দেহের অণভ্যন্তরিক গঠন ও প্রক্রিয়ার কথা বলিতেছি না ; এই বিষয়ে মানবের সহিত তাহাদের সম্পূর্ণ সাদৃশ্য আছে তাছ। শরীরতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরণ স্থির করিয়াছেন । আমরা পশুপ্রকৃতি ও মনুষ্যপ্রকৃতির সহিত তুলনা করিয়ণ দেখাইব যে, তাহণদের মধ্যে বিশেষ কোন বৈলক্ষণ্য নাই ; দেখাইব যে, উচ্চশ্রেণীস্থ জতুগণ ও মমৃষ্যের ন্যায় বিস্ময়, কৌতুহল, অনুকরণ, অভিনিবেশ,