পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

l [ বঙ্গ মহিলা । సెaدانbه لا ,stH বঙ্গমহিলা । به পূৰ্ব্ব প্রকাশিতের পর l • o o বিবাহ । মহু আৰ্য্যজাতির জন্য চারি অশুম নির্দেশ করিয়াছেন। প্রথম ব্রহ্মচৰ্য্য, দ্বিতীয় গৃহস্থ, তৃতীয় বানপ্রস্থ ও চতুর্থ সন্ন্যাস। ব্ৰহ্মচৰ্য্যাবস্থায় অধ্যয়ন করিতে হয়, অধ্যয়ন পরিসমাপ্ত হইলে গৃহে বাস করা বিহিত । তদনন্তর সন্তানসন্ততি হইলে বৃদ্ধাবস্থায় সস্ত্রীক হইয়ণ সাংসারিক কাৰ্য্য হইতে বিরত হইয়ণ কেবল পরমেশ্বরের ধ্যান করাই মনুর অভিপ্রেভ । এই অবস্থায় সাংসারিক ভোগেচ্ছা হইতে ঈশ্বরের দিকে মনকে অাকর্ষণ করিবার জন্য অতি কঠিন কঠিন নিয়ম সকল বিহিত হইয়াছে। বানপ্রস্থাবস্থা উত্তীর্ণ হইলে মনুষ্য কাম ক্ৰোধ লোভাদি বিবর্জিত হইয় পরম সন্তোষ আশ্রয় করত সন্ন্যাসী হইবে । এবং যেমন পক্ষীগণ বৃক্ষশাখা পরিত্যাগ করে, তদ্রুপ মানব অবলীলাক্রমে স্বীয় প্রাণ পরিত্যাগ করিয়ণ পরমব্রহ্মে লীন হইবে । আর্য্যমাত্রেরই এই চারি আশ্রমের মধ্যে এক আশ্রম আশ্রয় করিয়া থাকা কৰ্ত্তব্য। মহ কহিয়াছেন, “ অনাশ্রমী হইয়ণ দ্বিজাতিগণের এক দিনও থাক। কর্তব্য নহে ।” অনেকে আজন্মকাল ব্রহ্মচারী এবং কেহ বা সন্ন্যাসী হইয় থাকেন। কিন্তু গৃহস্থাশ্রম অবলম্বন করিলে সংসারের বহুবিধ কল্যাণ সাধন করিতে পারা যায় । অধিক কি সন্ন্যাসীরাও গৃহস্থ দ্বারা প্রতিপালিত হন। যাগ, যজ্ঞ, দান, ধৰ্ম্ম গৃহস্থ দ্বারাই উত্তমরূপ সম্পাদিত হয়। এজন্য শাস্ত্রকারের বারম্বার গৃহস্থ ধর্মের প্রশংসা করিয়াছেন। কিন্ত গৃহ আশ্রয় করিলেই গার্হস্থ্য বলে না । * গৃহকে গৃহ বলে না, গৃহিণীকেই অর্থাৎ পত্নীকেই গৃহ বলে।” বেদে যেখানে “ স গৃহে গৃহমাগতঃ” আছে, সেখানে আশ্বলায়ন কহিয়াছেন “ সগৃহ ” অর্থাৎ পত্নীসহ। বিদ্যাশিক্ষার পর গৃহী হইতে ধৰ্ম্মশাস্ত্রপ্রণেতারণ আদেশ করিয়াছেন, “ মহষ্য স্বীয় জীবনকে চারিভাগ করিয়া তাহার প্রথম ভাগ জ্ঞানোপার্জন জন্য