পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন, ১২৮৩ । ] পদ্মিনী-চরিত । ১৩৫ সন্তানসন্ততি ও জন্মিল । কিন্তু পার্থিব সুখ চিরকাল স্থায়ী নহে রাজাই হউন, সমাটই হউন, কিম্ব বীরপুৰুষই ইউন, সকলকেই দুঃখণবসানে সুখ, ও "সুখাবসানে দুঃখভোগ করিতে হইবেই হইবে। কেহই এ নিয়ম হইতে মুক্তি পাইবেন না ; কাহাকেও চিরদিন মুখ কিম্বা চিরদিন দুঃখভোগ করিতে হইবেক না, অবশুই পরিবর্তন হইবেক । রাজা ভীমসিংহ ও তদীয় পত্নী রাণী পদ্মিনী উভয়ে সুখে কাল যাপন করিতেছিলেন ; কিন্তু হায় । সংসারসুখ এত অল্প ক্ষণস্থায়ী যে, কিঞ্চিৎকাল সুখভোগ করিয়াই র্তাহাদিগের সুখে বিষম ব্যাঘাত জন্মিল । ১২৯৩ খৃঃ অব্দে খিলিজি বংশীয় তৃতীয় সমাট পাপাত্মা আলাউদ্দিন চিতোর নগর ভয়ানক পরাক্রমসহকারে আক্রমণ করিল ! তদবধি, রাজা, রাজমহিষী, রাজকর্মচারী ও প্রজা বর্গ প্রভৃতি সকলেই সদায়ৰ্ব্বদ। যবনভয়ে সশঙ্কিত থাকিতেন। সকলেই ব্যস্তসমস্ত, কাহার ও অন্তরে আশঙ্কাব্যতীত সুথের লেশমাত্র ছিল না । রাজা ভীমসিংহ য বনসৈন্যের পরাক্রম দেখিয়া, নিতান্ত হতাশ হইলেন । পদ্মিনী এই বিষম ব্যাপার দুেখিয়ণ রাজাকে বারংবার উৎসাহজনক উপদেশ দিতে লাগিলেন। রাজা, মহিষীর উৎসাহ বাক্যে অত্যন্ত উৎসাহিত হইয়া, সৈন্য সংগ্রাহকরতঃ অসীম পরাক্রম সহকারে পাপাত্মা আলাউদিনের সহিত যুদ্ধারম্ভ করিলেন । ঘোরতর সংগ্রামারম্ভ হইল, কোন পক্ষই কোন পক্ষকে পরাজিত করিতে পারিল না ; অথচ উভয় পক্ষেরই সৈন্য বিনষ্ট হইতে লাগিল । বিশেষতঃ যবনসৈন্য অধিক পরিমাণে হত হইতে লাগিল । আলাউদ্দিন এতাধিক সৈন্যের বিনাশ দেখিয় রণে ক্ষান্ত হইলেন । মহারাজ ভীমসিংহও তদর্শনে রণে ক্ষান্ত হইয়া সন্ধি সংস্থাপনের কল্পনা করিতে লাগিলেন । এইরূপে রাজা ভীমসিংহ অমাত্যগণপরিবৃত হইয়া, সন্ধিস্থাপনের কল্পনা করিতেছিলেন, এমন সময় আলাউদিনের শিবির হইতে এক দূত একখানা পত্র লইয়। অগসিল । তাহণতে এইরূপ লেখা ছিল :–