পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘আশ্বিন, ১২৮৩ । ] পদ্মিনী-চরিত । ソV3° পরিত্যাগ করিতে পারি ; অতএব ত্বরায় সম্মতিপত্র লিখুন রাজা বুলিলেন, “প্রিয়ে! আমি কি প্রকারে ক্ষত্রিয় বংশে জন্ম পরিগ্রহ করিয়ণ, ধৰ্ম্ম ও-সমাজবিৰুদ্ধ কাৰ্য্য করব । এবং কি প্রকারেই বা এই পবিত্র বংশে কলঙ্ক অশাইব ।’’ পদ্মিনী বলিলেন, “ যদি আমাকে দেখাইলেই ক্ষত্রিয়কুলে কলঙ্ক হয়, তবে দর্পণ দ্বারা আমার প্রতিমুর্তি দেখাইলে ধৰ্ম্মবিৰুদ্ধ হইবেক না।” রাজা ভীমসিংহ পদ্মিনীর কল্পনায় স্বীকৃত হইয়া, যবনরাজাকে নির্দিষ্ট দিনে পদ্মিনীর প্রতিমূৰ্ত্তি দেখিতে নিমন্ত্ৰণ করিলেন। পাপাশয় আলাউদ্দিন তদনুসারে নির্দিষ্ট দিবসে আসিয়া, পদ্মিনীর প্রতিমূৰ্ত্তি দর্শন করিল ; ও একেবারে উন্মত্ত হইয়। পদ্মিনীকে পাইবার নিমিত্ত নানাপ্রকার যড়যন্ত্র ও চেষ্টা করিতে লাগিল । এক দিবস আলাউদ্দিন রাজা ভীমসিংহকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া স্থাপন শিবিরে লইয়া গোল ও বিশ্বাসঘাতক হ্রাচার আলাউদ্দিন রাজাকে বন্দী করিল। এবং বলিল, “ তুমি যদি পদ্মিনীকে না দেও তবে সৰ্ব্বাগ্রে তোমার মৃত্যু সাধন করিয়া চিতোর নগর চূর্ণ বিচুর্ণ করিব, ও পরশুরামের ন্যায় সকল ক্ষত্ৰিয় সৈন্য বিনাশ করিয়া পদ্মিনীকে লইয়ণদিল্লী প্রস্থান করিব ; ও তাছাকে আমার বামপাশ্বে বসাইব, দেখিব তখন কে রক্ষা করে।” রাজা ভীমসিংহ পণপাশয়ের দুৰ্ব্বাক্য শ্রবণ করিয়া, ক্রোধে কম্পান্বিতকলেবর হইয়। বলিলেন, “ রে ছুরত মহাপাপি বিশ্বাসঘাতক যবন, এই কি তোর ধৰ্ম্ম । এই কি তোর রাজনীতি ! এই কি তোর সাহস । এই কি তোর বীরত্ব ! এই কি তোর কোরাণে লিখিয়াছে ! প্রাণ যায় রাজ্য যায় সেও স্বীকার, তথাপি আমার মনোহারিণী পদ্মিনীকে অন্য কাহাকেও দিব না | দিব না ! পদ্মিনীকে স্বহস্তে বিনাশ করিব, তথাপি অামি থাকিতে সে অন্যের হুইবে ইহণ কখনই সহ করিতে পারিব না। পাপাত্মা ! তোর এতবড় দুরণশ । কণর সাধ্য যে নিষ্কলঙ্ক ক্ষত্রিয়কুলে কলঙ্ক দেয়। পাপীয়মৃ! তুমি কি মনে করিয়াছ যে, ক্ষত্ৰিয়রমণীরা তোমাপেক্ষ দুর্বল ? কখনই