পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अश्विन, s२४७ । ] পদ্মিনী-চরিত । b\פס তৎপরে পদ্মিনী আলাউদ্দিনকে এই মৰ্ম্মে এক পত্র লিখিলেন যে, তিনি স্বয়ং যাইয়া, তাছার নিকট উপস্থিত হইবেন। তদনন্তর র্তাহার দুই তিন শত সৈন্যকে নারীবেশ ধারণ করিয়া, এক এক শিবিকায় আরোহণপূর্বক তাহার সমভিব্যাহারে যবনশিবিরে যাইতে অনুমতি প্রদান করিলেন ও তাছাদিগকে এইরূপ উপদেশ দিলেন যে, যখন তিনি রাজা ভীমসিংহকে, যবনহুর্গ হইতে উদ্ধার করিয়া প্রস্থান করিবেন, তখন তাহার। আপনি আপন শিবিকা হইতে বাহির হইয়া, যবন সৈন্য বিনাশ করিবে । এই বলিয়। তিনি ও র্তাহার সহচরীগণ অশ্বারোহণ করিয়া, যবনশিবিরাভিমুখে যাত্ৰা করিলেন । আহা ! সেই সময়ে তাহার কি চমংকার শোভা হইয়াছিল ! কিয়ৎকালান্তে যবনশিবিরে উপস্থিত হইলেন। আলাউদ্দিন পদ্মিনীর আগমনসংবাদে সংড়াশুন্য হইয়া, তাহাকে সম্ভাষণ করিবার নিমিত্ত দ্রু তপদবিক্ষেপে ধাবমান হইলেন। পদ্মিনী অtলাউদ্দিনকে দেখিয়া ভয়ে শিহরিয়া উঠিলেন, কিন্তু আত্মভাব গোপন করিয়। বলিলেন যে, “ যে পর্যন্ত আমি মহারাজ ভীমসিংহের নিকটু হইতে জন্মের মত বিদায় ন হই, সে পৰ্য্যন্ত আপনি আমাকে স্পর্শ করিবেন না। অামি তাহার নিকট হইতে বিদায় গ্রহণ করিয়া, আপনার মনোভিলাষ পূর্ণ করিব। তিনি কোন্‌ প্রকোষ্ঠে আবদ্ধ আছেন, আমাকে দেখাইয়। দিন ।” তদনুসারে আলাউদ্দিন দেখাইয়া দিল । পদ্মিনী প্রকোষ্ঠে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন যে, তাহার প্রাণেশ্বর ধরা-শয্যায় শায়িত রছিয়াছেন । র্তাহার সর্বাঙ্গ ধুলায় ধুসর বর্ণ হইয়াছে ; আর সে ঐ নাই, আর সে পূর্ণচন্দ্রসদৃশ মুখমণ্ডল নাই, ক্ৰন্দন করিতে করিতে চক্ষুদ্বয় আরক্ত হইয়াছে ; প্রথম দর্শনে রাজা ভীমসিংহ বলিয়া জানা যায় না। পদ্মিনী তদর্শনে নিতান্ত শোককুল হইলেন, কিন্তু শোক সম্বরণ করিয়া বলিলেন, “প্রাণবল্লভ | উঠুন!” রাজা পদ্মিনীকে দেখিয়া, ও র্তাহার বাক্য শ্রবণ করিয়া । সাতিশয় হর্ষিত হইলেন ; ও সবিশেষ অবগত হইবার নিমিত্ত