পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8२. বঙ্গ মহিলা । [২য় খ, ৬ষ্ঠ সংi স্বর্ঘ্যের মধ্যে স্থানে স্থানে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ গহবর আছে, এবং এই গহবর সমুহ কৃষ্ণবর্ণ চিহ্ন স্বরূপ প্রতীয়মান হয় । ঐ গহ্বরগুলি সৰ্ব্বদা সমানভাবে থাকে না। কোন কোন সময় স্বৰ্য্যমণ্ডল এককালে কুহর শূন্য হইয় পড়ে, কখন বা বহুকুহরে পরিপূর্ণ হয়, এবং কখন বা কোন এক বৃহৎ গহবর ছিন্ন ভিন্ন হইয়। কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গহবরে পরিণত হয় । এই পরিবর্তনে যে ভয়ানক বিপ্লব ও নৈসর্গিক শক্তিব্যয় স্বচিত হয়, তাহ আমাদের অমৃভব শক্তির অতীত। এইরূপ কুহর সমূহের অবস্থান্তর ও রূপান্তর হইয়। থাকে। এক জন সাহেব অনেক বৎসর ক্রমাগত পরীক্ষণ করিয়া নিরূপণ করিয়াছেন যে, প্রায় ১১ বৎসর অন্তর কুহর সমুহের সংখ্যা অতিশয় বৃদ্ধি পায় এবং ইহাও স্থিরীকৃত হইয়াছে যে, পৃথিবীতে ঘূর্ণিবায়ুর সংখ্যা ১১ বৎসর অন্তর বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। যে বৎসর স্বৰ্যকুহুরের সংখ্যা অধিক, সেই বৎসর বাত্যার সংখ্যাও অধিকু হইয়। থাকে। এই হেতু কেহ কেহ অনুমান করেন যে, ঐ ঘটনাদ্বয়ের মধ্যে কোন ঘনিষ্ট সম্বন্ধ আছে । ইহাও বলা উচিত যে, যেমন পৃথিবীর বিষুব রেখার নিকট ঘুৰ্নিবায়ুর অধিক প্রাচুর্ভাব, স্বৰ্য্যমণ্ডলে কুহরের সংখ্যা স্বর্ষ্যের বিষুব রেখার নিকট অধিক স্বৰ্য্যকুহরের উৎপত্তি ও নাশ যে পৃথিবীর বৈদ্যুতাদিকী শক্তির বৃদ্ধি ও হ্রাসের কারণ, তাহা এক্ষণে নিশ্চিত হইয়াছে। ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা বহু যত্ন ও পরিশ্রম স্বীকার পূর্বক নিরূপণ করিয়াছেন যে, পৃথিবী যেমন বায়ুরাশিদ্বার পরিবেষ্টিত, স্বৰ্য্যমণ্ডল ও সেইরূপ নানাবিধ পদার্থের বাস্পদ্বারা পরিবৃত। স্বৰ্য্য প্রচণ্ড তেজোময় বলিয় তাহার গাত্রে কিছু দেখিবার সম্ভাবনা নাই । স্বৰ্য্যগ্রহণের সময় স্বৰ্য্যমণ্ডল চন্দ্রান্তরালে লুক্কায়িত হইলে, ছায়।রত স্বর্যের গাত্রের উপর সংলগ্ন পদার্থ বিশেষ দৃষ্ট হয়। ঐ পদার্থ প্রজ্বলিত উদজান বাষ্প । ইহা কিরূপে নিরূপিত হইল তাহণ পশ্চাৎ বুঝাইব । স্বৰ্য্যমণ্ডলের চতুষ্প শ্বে উজ্জ্বল রক্তবর্ণ উক্ত বাষ্প ঘেরিয়া আছে। স্বৰ্য গর্ভে ও স্বর্ষ্যোপরি সতত বিষম বিপ্লব বশতঃ