পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈ, ১২৮৩। ] দণ্ডকারণ্যের পৌরাণিক ইতিহাস । જે • যে সময়ে এই লোকবিগর্হিত বিসদৃশ কাণ্ড সংঘটিত হয়, তৎকালে মহর্ষি শুক্র স্নানার্থ গমন করিয়াছিলেন । তিনি শিষ্যগণে পরিবৃত ও ক্ষুধার্ত হইয়া মুহূৰ্ত্ত মধ্যেই স্বীয় আশ্রমপদে প্রত্যাবৃত্ত হইলেন । দেখিলেন, তাহার আত্মজ। বিরজা ধূলিধূসরিত্যঙ্গ ধরাতলে পতিত রহিয়াছেন । র্তাহার কেশপাশ আলুলায়িত, ও বদন কুমুদ নিতরাং মলিন হুইয়া গিয়াছে। তদর্শনে ক্ষুধাৰ্ত্ত মহর্ষির রোস্বানল প্রজ্বলিত হইয়। উঠিল । তিনি যোগবলে । সমুদায় জানিতে পারিয়াছিলেন, অতএব কন্য" না বলিতে বলিতেই যেন ত্রিলোকদাহে সমুদ্ভত হইয়া, রোষকষায়িত চিত্তে শিষাদিগকে বলিতে লাগিলেন, তোমর অদূরদর্শী ভ্ৰষ্টাচার দণ্ডের প্রদীপ্ত অগ্নিশিখণর ন্যায় ঘোরসঙ্কাশ বিপত্তি অবলোকন কর । আমি এই মুহূর্তেই হ্রাত্মার সমুচিত শাস্তি বিধান করিয়ণ, শান্তি লাভ করিব। দুরাত্মা ন জানিয়া, প্রজ্বলিত হুতাশন । শিখ স্পর্শ করিয়াছে ; সেই অধৰ্ম্ম বশতই অনুগামী সহিত ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়াছে। বলিতে কি, সেই পাপশীল দুৰ্ম্মতি যখন ঈদৃশ ঘোরশংসিত অন্যায় অনুষ্ঠান করিয়াছে, তখনই তাহার দুরিবার বিপৎ আপতিত হইয়াছে r ঐ নরাধম যার পর নাই পাপায়। ও যার পর নাই পাপাবতার । অতএব কৃত্য বল ও বাহন সছিত সপ্তাহ মধ্যে বিনষ্ট হইবে । দেবরাজ ইন্দ্র বিন্দুমাত্র বারিবর্ষণে পরাঙুখি হইয়া, তদীয় অধিকারে শত যোজন সমস্তাৎ মহৎ পাংশু বৃষ্টি করিবেন. এই প্রকার অনবরত পাংশু বৃষ্টি প্রাদুভূত হইয়া, পঞ্চ রাত্র মধ্যে স্থাবর জঙ্গম সমুদায় প্রাণী একেবারেই বিনষ্ট হইবে। মহাভাগ শুক্র ক্রোধপরীত চিত্তে এই প্রকার শপপ্রদানানন্তর স্বীয় আশ্ৰম বাসিদিগকে কছিলেন, তোমরা এই কন্যাকে আশ্রম ছইতে দূরে অপসারিত কর। চিরপবিত্র মহাপ্রভাব ভৃগুবংশ অদ্য ইহা হইতে কলঙ্কিত হইল। সরল-হৃদয় বিরজণ ব্যাকুললোচনে পিতার মুখপানে চাহিয়া ছিলেন । এবং প্রতিক্ষণেই র্তাহার পরিহার প্রতীক্ষা করিতেছিলেন। দুরাত্মার কর-সংস্পৃষ্ট