পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ, ১২৮৩ ] প্রাপ্তগ্রন্থের সংক্ষিপ্ত সমালোচনা। 39 করিলে পালবংশীয়ের নতশির হয়েন । বল্লাল হিন্দুরীতি ও নীতি দৃঢ়ীকরণার্থ সমস্ত হিন্দ্রজাতিকে শ্রেণীবদ্ধ করেন ও কৌলীন্য মৰ্যাদা সংস্থাপন করেন। বঙ্গদেশে ব্রাহ্মণদিগকে চারিভাগে বিভক্ত দেখা যায়। যথা রাঢ়ী, বৈদিক, বারেন্দ্র ও কনৌজ । বল্লালসেন রাঢ়শ্রেণীর ব্রাহ্মণদিগকে চারিভাগে বিভক্ত করেন যথা, মুখ্যকুলীন, শ্রোত্রিয়, গৌণকুন্টুীন ও বংশজ। ইহাদের মধ্যে নানা দল বা “মেল” আছে, যথা ফুলিয়। মেল, বল্লভী, সৰ্ব্বানন্দী ইত্যাদি । দেবীবর পণ্ডিত ব্রাহ্মণদিগকে “ মেল ?’ বদ্ধ করেন । এই জাতীয় ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে অতিনৃশংস ও অতিজঘন্য বহুবিবাহ প্রথা প্রচলিত অগছে । এরূপ কিম্বদন্তী অাছে যে, বৈদিক ব্রাহ্মণের। ভট্টনারায়ণদির আগমনের পূৰ্ব্বে, উড়িষ্যা হইতে বঙ্গদেশে উপনিবেশ করে। বৈদিকের দুইভাগে বিভক্ত, দক্ষিণাত্য অর্থাৎ যাহার। প্রথমে বঙ্গদেশে আগমন করেন, ও পাশ্চাত্য অর্থাৎ যাহারণ তাহণদের পরে আসেন। এক্ষণে রাঢ়ীশ্রেণীর ব্রাহ্মণদিগের ন্যায় বৈদিকৃদিগের মধ্যেও নানা বিভাগ দৃষ্ট হইয় থাকে। বৈদিকদিগের মধ্যে সাধুবিগর্হিত বাল্যবিবাহ প্রচলিত আছে। দুই তিন মাস হইলে, অথবা গর্ভে গর্ভে শিশুদিগের সম্বন্ধ স্থির হয় এবং কন্যা ও পুত্র নয় বৎসরের হইলে বিবাহকাৰ্য্য সম্পন্ন হয় । বিবাহের পূৰ্ব্বে ভাবী বরের মৃত্যু হইলে অন্য বরের সহিত কন্যার বিবাহরীতি আছে । ইহাতে কন্যার পিতার কুলক্ষয় হয় না, কিন্তু কন্যা সকলের স্থণাৰ্ছ হয়, ও তাহার হস্তে কেহ অtহারাদি করে না । এরূপ কন্যাকে অন্নপূৰ্ব্ব কহে। ক্রমশঃ । প্রাপ্তগ্রন্থের সংক্ষিপ্ত সমালোচনা । উদ্ভিদশাস্ত্রের উপক্রমণিকা।—মিস ই ওমান প্রণীত পুস্তক হইতে প্রযুক্ত ব্ৰজেন্দ্ৰ নাথ দে, এম, এ, সি, এস কর্তৃক অনুবাদিত ।