পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাগুন, ১২৮৩ t] ইংলণ্ডের শাসনপ্রণালী । ’ २84 স্পেন্সরের সহিত এক বাক্যে বলিতে পারি যে, বিজ্ঞানই কাব্য। কবিতা পাঠ করিলে যেরূপ সুখ হয়, যেরূপ মনের উৎকর্ষ সাধন হয়, বিজ্ঞান পাঠ করিলে ঐ রূপ যে হয় না তাহ আমরা বিশ্বাস করি না । দ্বিতীয়তঃ যদিও বিজ্ঞানকে অতি কঠোর সামগ্ৰী বলিয়। মানি, তথাপি তাছা যে স্ত্রীজাতির পাঠের অনুপযুক্ত তুহে। বলিতে পারি না । পুৰুষ জাতি স্বাভাবিক উগ্র ও কঠোর-হৃদয় বলিয়। কেবল বিজ্ঞানশাস্ত্রালোচনা কর ও কাব্যরসাস্বাদনে একবারে ৰিমুখ থাক। যদি সঙ্গত হয়, তবে স্ত্রীলোকের পক্ষে কেবল কাব্য পাঠ করা সঙ্গত হইতে পারে। - ঈশ্বর স্ত্রীজাতিকে কৈামল প্রকৃতি দিয়াছেন, সেই কোমল প্রকৃতি শিক্ষাদ্বারা উৎকর্ষসাধন করিয়া, কোমল ও মধুর ব্যবহারে পরিবারের সুখ সচ্ছন্দতা বৃদ্ধি করেন ও জনসমাজে শান্তি ও প্রেমের রাজ্য বিস্তার করেন ইহাই বাঞ্ছনীয়। - ইংলণ্ডের শাসন-প্রণালী । পূৰ্ব্বে ইংলণ্ড একটা স্বতন্ত্র রাজ্য ছিল । ইহা তৎকালে ব্রিটন বলিয়ণ বিখ্যাত ছিল । ইহার লোকেরণ এরূপ অসভ্য ছিল যে, তাহাদিগের মধ্যে কোন প্রকার সুচাৰু রাজ প্রণালী চলিত ছিল ন। দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে ভিন্ন ভিন্ন দলের এক একটী স্বতন্ত্র রাক্ত ছিল ; তাহারণ সকলেই স্বেচ্ছাচারে প্রজাবর্গের উপর আপনাপন আধিপত্য প্রকাশ করিত। যে অরণ্যচারী মুখ জাতি পশুচৰ্ম্মপরিধান করিয়া কেবল মৃগয়া ও পরস্পর কলহে দিনযাপন করিত,—যাহারু। গৃহাদি নিৰ্ম্মাণ দূরে থাকুক, লৌহাদি ধাতুর ব্যবহারও উত্তমরূপে বুঝিতে পারিত না, যা ছাদের মধ্যে লেখা পড়া কখনই কিছুমাত্র চলিত ছিল না তাহাদিগের রাজ্যশাসন কি প্রকার ছিল, তাহ পাঠকবর্গ বোধ হয় অনায়াসেই বুঝিতে পরিবেন। পরে রোমীয় জাতি আসিয়া ব্রিটন আক্রমণ করিয়া তাছার