পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"ফাগুন, ১২৮৩ 1} ইংলণ্ডের শাসনপ্রণালী । : २ 8२ পুত্র পিতার জীবদ্দশায় পরলোক গমন করিলে অহার যদি কোন সন্তান থাকে তাছা হইলে সেই সন্তানই (কন্যাই হউক বা পুত্রই হউক ) কেবল রাজা হইতে পারেন। কিন্তু পুত্র এবং কন্যা উভয়ে বর্তমান থাকিলে পুত্রের প্রথমে অধিকার। পূর্বেই কথিত হইয়াছে যে, এক্ষণে রাজার প্রায় কোন ক্ষমতাই নাই। অপর জাতির সহিত যুদ্ধ করা, যুদ্ধে নিযুক্ত হইলে সন্ধি করা, অপরাধী ব্যক্তিকে মার্জন করা, প্রজাগণকে উচ্চ উপাধি প্রদান করা, আপনার মন্ত্রী নিযুক্ত করা ইত্যাদি সামান্ত ক্ষমতাই উহাকে প্রদত্ত ছইয়াছে। রাজ্যে করসংগ্রহ, আইনসৃষ্টি, এবং দোষাদোষ বিচারের ভার পালিয়ামেন্টের উপর" সম্পূর্ণরূপে ন্যস্ত হইয়াছে। রাজার এই মাত্র বিশেষ ক্ষমতা যে তিনি স্বয়ং যদিও কোন অাইন অর্থাৎ নিয়ম সৃষ্টি করিতে পারেন না তত্ৰাপি পালিয়ামেণ্ট-সৃষ্ট নিয়মে তিনি যতক্ষণ সম্মত না হইবেন, ততক্ষণ তাছ। দেশে আইন বলিয়। চলিত হুইবে না। - পালিয়ামেণ্ট সভা দুই ভাগে বিভক্ত ; একটী সামান্য লোকদিগের জন্য, আর একটী উচ্চপদস্থ লোকদিগের জন্য। ইংলণ্ডের একটা চমৎকার নিয়ম এই যে, যদি কোন প্রজা কোন প্রকার উত্তম কৰ্ম্ম করে, তাছা হইলে রাজা তাছাকে উচ্চ উপাধি প্রদান করিতে পারেন। এই উপাধি ছয় প্রকার। (১ম) “ বেরনেট”—এইটী সৰ্ব্বনিকৃষ্ট । এই উপাধি যাহাকে দেওয়া যায় সে ব্যক্তি সেই অবধি "সর ” অর্থাৎ "মহাশয়” বলিয়া খ্যাত হয়। “ নাইট” নামে আর একটি উপাধি আছে তা হাতেও লোকে “সর ” ৰলিয়া খ্যাত হয়। এই উভয়ে প্রভেদ এই যে, ৰেরনেই উপাধিটা পুৰুষাচক্রমে চলিয়া থাকে, অর্থাৎ যাদ্ধাকে দেওয়া হয়, সে মরিলে তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র, তৎপরে সেই জ্যেষ্ঠ পুক্সের জ্যেষ্ঠ পুত্র, পুত্ৰ না থাকিলে জাতা, জাতার অবর্তমানে জাতু-পুত্র, এইরূপে পুৰুষান্থক্ৰমে , সকলেই ৰেৱনেটু হইয় থাকে। নাইট্‌ উপাধি যাহাকে দেওয়া হয়, সে পরলোকে গমন করিলে সে বংশে এই উপাধি