পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ফাগুন, ১২৮৩ ] ইংলণ্ডের শাসনপ্রণালী । २९४ সভায় সভ্য হয়। প্রত্যেক স্থানের সমস্ত লোকের। আপনাদিগের মধ্য হইতে সেই হুই, তিন বা চারি ব্যক্তি মনোনীত করিয়া মহাসভায় প্রেরণ করে। ইছারা সকলে একত্র হইয়া রাজকাৰ্য্য করিতে থাকে। এই সমুদয় ব্যতীত রাজার কতকগুলি মন্ত্ৰী আছে। তাছাদিগকে রাজা স্বয়ং মনোনীত করেন। (১) প্রধান মন্ত্রী ;–ইহার উপর রাজকোষের ভার অপিত থাকে। (২) বিচারমন্ত্রী ; (৩) ভারতবর্ষের মন্ত্রী ; (৪) বিদেশীয় কার্য্যের মন্ত্রী; (৫) স্বদেশ রাজকর্মের মন্ত্রী ; (৬) যুদ্ধ বিষয়ের মন্ত্রী, ইত্যাদি। কি লর্ড কি সামান্য লোক সকলেই এই পদে অভিষিক্ত হইতে পারেন । রাজ্যের কর আদায়ের ভার হাউস অব কমন্সের উপর অপিত আছে । ইহার রাজাকে বাৎসরিক যে অর্থ দেয়, তাহা দ্বারাই রাজার ভরণপোষণ হয়। পাঠকগণ এক্ষণে দেখিতেছেন যে,ইংলণ্ডে রাজা স্বাধীন হওয়া দূরে থাকুক, কতদূর পরবশ। পূৰ্ব্বে বল। হইয়াছে যে, রাজা যুদ্ধে প্ররত হইতে পারেন। কিন্তু যুদ্ধ করিতে হইলে অর্থের নিতান্ত আবশ্বক। অর্থ অণবখ্যক হইলে হাউস অব কমন্স ব্যতীত আর কেহই দিতে পারিবে না। সুতরাং রাজা কোন দেশের সহিত যুদ্ধ করিতে ইচ্ছুক হইলেও হাউস অব কমন্সের সম্মতি ব্যতিরেকে তাহাতে প্রবৃত্ত হইতে পারে না। প্রজণগণের উপরই বাস্তবিক রাজকাৰ্য্যের ভার সম্পূর্ণরূপে ন্যস্ত আছে । কথিত আছে যে, জেম্স নামে ইংলণ্ডের একজন রাজা একটা দুষ্ট অশ্বের পৃষ্ঠে কোনক্রমেই আরোহণ করিতে ন পারিয়া ক্রোধাভরে ভৃত্যকে কছেন, “আমাকে একক পাইয়া এই দুষ্ট ঔদ্ধতা প্রকাশ করিতেছে; জানে না যে আমার হাউস অব কমন্সে পাঁচ শত আমণ অপেক্ষ জেষ্ঠ ও ক্ষমতাপন্ন রাজা বসিয়া আছে ; সেইখানে লইয়ণ যাও এবং তাহারণ আমাকে যে প্রকারে নিস্তেজ করিয়াছে, ইহাকেও সেই প্রকারে নিস্তেজ করিতে বলিও ”