পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র, ১২৮৩ ] , মিষ্টভাষিত । ২৬৯ করা হইয়াছে যে, গবর্ণর জেনেরল যদি কখন, আপন সভার ইচ্ছা বিৰুদ্ধে স্বয়ং কোন আইন সৃষ্টি করেন ও তাছ। সাধারণের অপকারী হয়, তাহ হইলে তাহাকে পালিয়েমেণ্টে তাহার দায়ী হইতে হইবে । কিন্ত সভার সম্মতিতে যাহা কিছু করিবেন, তাহার জন্য র্তাহাকে নিজে দায়ী হইতে হইবে না। নতুৰ প্লালিয়মেন্টে এমন কি, দণ্ডনীয়ও হইতে হইবে। সুতরাং এ ক্ষমতা থাকিলেও গবর্ণর জেনেরল অতি সাবধানে তাহা চালনা করেন । , “হেৰিয়স, কপাস ” নামে প্ৰজাগণের স্বাধীনতা রক্ষার অণর একটা প্রধান যন্ত্র। যদি কোন রাজকৰ্ম্মচারী কোন প্রজাকে বিনা বিচারে আপনি ইচ্ছাতে কারাবাসে প্রেরণ করে, তাছা হইলে সে ব্যক্তি আদালতে “ হেবিয়স কপাসের ” প্রার্থনা করিতে পারে ; করিলেই কারাগার হইতে তৎক্ষণাৎ তাহাকে মুক্তি দিয়া তাহার দোষাদোষ বিচার হুইবে । ইংলণ্ডের অধীনে ভারতবর্ষের যে কতদূর উন্নতি হইতেছে,তাহ। পাঠকবর্গ সকলেই বুঝিতে পারিতেছেন । প্রজাগণের ধন ও প্রাণ যে পূৰ্ব্বাপেক্ষ অনেকাংশে নিরাপদ তা হার আর কেন্স+— সংশয় নাই। সৰ্ব্বত্রই বিদ্যার চর্চা হইতেছে, প্রজাগণ Aভয়ে আপন আপন ধর্মের আলোচনা করিতেছে এবং রাজকর্মচারীগণের কাছার ও উপর অত্যাচার করিবার কোন সম্ভাবনা বা ऋभाऊ' नांरे । মিষ্টভাষিত । কোন ব্যক্তি অসুস্থ হইলে চিকিৎসক প্রথমে তাহার জিহব। পরীক্ষা করেন, কেননা অপ্রকৃতিস্থ রসন শারীরিক অসুস্থতার নিদর্শন। যাহার রসন পরিষ্কার, তাহার শরীর সুস্থ । যেমন শরীরের অবস্থা রসনার অবস্থা হইতে নিরূপণ করা যায়, সেইরূপ মন্বয্যের চরিত্র ও মনের তাৰ তাহার কথাবার্তা হইতে অনেকটা