পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র, ১২৮৩ ] পরীক্ষা । २१७ দেওয়া হইয় থাকে এবং ইহার ছাত্ৰীগণ অল্প আয়াসে, বিশ্ববিদ্যালুয়ের পরীক্ষায় বোধ হয় উত্তীর্ণ হইতে পরিবেন। এক্ষণে ছিন্দ্র বঙ্গমহিলাগণ যাহাতে উচ্চশিক্ষণ লাভ করিয়া প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার উপযুক্ত হইতে পারে, সে বিষয়ে দেশহিতৈষী কৃতবিদ্যগণের বিশেষ মনোযোগী ও উৎসাহের সহিত যত্নবান হওয়া কৰ্ত্তব্য । - . . স্ত্রীলোকের শিক্ষাপ্রণালী ও পরীক্ষার নিয়ম পুৰুষগণের সৰিত সমান হওয়া উচিত কি না, সে বিষয়ে মতভেদ দেখিতে পাওয়৷ যায়। মানসিক বৃত্তি ও হৃদয়ের ভাবনিচয়ের প্রকার ও পরিমাণ সম্বন্ধে নরনারীর প্রকৃতিতে যে বিশেষ তারতম্য আছে, তাহ বোধ হয় সকলেই স্বীকার করিয়া থাকেন । এই ভিন্নত থাকাতেই অনেকে বলেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার নিমিত্ত নর ও নারীর পাঠ্য ভিন্ন প্রকার হওয়া আবিখ্যক । তাহদের মতে গণিত, দর্শন, বিজ্ঞান প্রভৃতি কঠোর চর্চাতে মহিলাগণের কোমল ভাব লুপ্ত হইয়া হৃদয়কে প্রস্তরবৎ কঠিন করিয়া ফেলিবে । যাহাতে নারী-হৃদয়ে প্রকৃতিগত সৌন্দর্ঘ্য ও কোমল স্বভাব সুন্দর রূপে ক্সিরশিত হয়, তাহারণ সেইরূপ শিক্ষাই নারীজাতির উপযোগী/বলিয়। বোধ করেন। কিন্তু বিজ্ঞান যে কঠোর এবং উহার আলোচনা করিলে কবিতাপাঠের ন্যায় মনে যে সুখের উদয় হয় না, তাছ। আমরা বিশ্বাস করি না এবং তাহ যে স্ত্রীজাতির পাঠের অম্লপযুক্ত তাহ বলিতে পারি না । তবে আপাততঃ সাধারণ বালিকাগণের উৎসাহের নিমিত্ত অপেক্ষাকৃত কিঞ্চিৎ সহজ পাঠ্য নিৰ্দ্ধারিত করিয়া পরীক্ষার প্রণালী কিছু স্বতন্ত্র প্রকার করিলে মন্দ হয় না। তবে যে সকল বালিকা প্রতিযোগিতায় পুৰুষদিগের সহিত সমকক্ষতণ প্রদর্শন করিতে ইচ্ছা করিবে, তাহারণ করিতে পারিবে । ੰ পরীক্ষার প্রচলিত প্রথানুসারে পরীক্ষাদ্বাদিগকে প্রত্যেক বিষয়ে উছার নির্ধারিত সংখ্যা রাখিতে না পারিলে উত্তীর্ণ করা হয় না । এরূপ না করিয়া যদি সকল বিষয়ের সংখ্যার সমষ্টি