পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:ፃህ বঙ্গ মহিলা । [২য় খ, ১২শ সং । " না। এই নিমিত্ত বায়ু পৃথিবীর সকল স্থানেই এত প্রচুর পরিমাণে ব্যাপ্ত অঁাছে, যে স্বভাবতঃ জীবমাত্রকে এক মুহূর্তের নিমিত্তও উছার অভাব ড়োগ করিতে হয় না। বায়ু পৃথিবীর চতুর্দিকে প্রায় ৪৫ মাইল (২২ ক্রোশ) উৰ্দ্ধে পরিবেষ্টিত করিয়া আছে । বায়ু গতিপ্রাপ্ত হইলেই ঝড় হয়। বায়ু অম্লজান ও যবক্ষারজান বায়ুদ্বয়ের সমষ্টিমাত্র। ইহার এক ভাগ অম্লজান বায়ু এবং চারি ভাগ যবক্ষারজান ৰায়। এই দুইটা বায়ুর মধ্যে অম্লজান বিশেষ প্রয়োজনীয় । ইহা অতিশয়,তেজস্কর এবং জ্বলনীয়, অর্থাৎ অগ্নির সহিত স্পর্শ হইলেই জ্বলিয় উঠে ] ইছ। প্রাণীজীবন ও অগ্নিদাহের একমাত্র কারণ । বায়ুতে যদি অল্পজান বায়ু না থাকিত, তাহা হইলে প্রাণীমাত্রেই জীবিত থাকিতে পারিত না এবং অগ্নি ও নিৰ্ব্বাণ হইয়। যাইত। ইছা যে প্রাণীজীবন ও অগ্নির পক্ষে কত আবশ্বক তাহ অনায়াসেই প্রমাণ করা যাইতে পারে। দুইটী কাচের ফানস লইয়া উহার একটার মধ্যে যদি একটা জীবিত ক্ষুদ্র পক্ষী ক্ষণকাল ঢাকিয়া রাখা যায় এবং অন্যটা দ্বারা একটা জ্বলন্ত তী ঐরূপ ঢাকিয়া রাখা যায় এবং দৃঢ়বদ্ধ দ্বারা বাহিরের বায়ু खेशद्भ মধ্যে প্রবেশ করিতে না পারিলে, ফানসস্থিত বায়ুর অত্যপ ভাগ অম্লজান বায়ু পক্ষীর নিশ্বাসকার্ধ্যে ব্যয়িত হইয় গেলে, উছ। অম্লজান বায়ুর অভাবে শীঘ্র প্রাণত্যাগ করে এবং এরূপে অন্য ফানসস্থিত অপভাগ অম্লজান বায়ু বাতীদ্বারা জ্বলিয়া গেলে, উছার অভাবে বাতীও শীত্র নির্বাণ হইয়া যায়। বাহিরের বায়ু যদি আপ পরিমাণে ফানসের মধ্যে প্রবেশ করিতে দেওয়া যায়, তাছা হইলে পক্ষিটী লীজ না মরিয়া নিতান্ত ক্ষীণ তু দুৰ্ব্বল হইয়। পড়িৰে, ও বাতী এককালে 'নিৰ্ব্বাণ না হইয়া মিই মিটু করিয়া জ্বলিতে থাকিৰে। বায়ুতে অম্লজান বায়ুর সহিত যবক্ষারজান বায়ু যদি মিলিত না থাকিত, তাহ হইলে নিশ্বাসকার্ষের ব্যাঘাত ছইয়। জীৰ মরিয়া যাইত এবং একস্থানে অগ্নি জ্বালিলে জ্বলনীয় o ཨ་རྨ་ཝ་ན་ দ্বারা বাহরাশি প্রজ্জ্বলিত হইয়া সমস্ত পৃথিবী ভস্মীভূত