পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* रैष्ज, *२५७ ।] স্বাস্থ্য-রক্ষা । ده লাগিল এবং বিশুদ্ধ ৰায়ু অভাবে যৎপরেশনাস্তি ক্লেশ সহ করিয়া অৰিকুংশ ব্যক্তির প্রাণবিয়োগ ছইল । রাত্ৰিপ্ৰভাতের পূৰ্ব্বেই ১২৩ জমের মৃত্যু হইয়াছিল। শয়ন ঘরের সকল জানাল ও দরজা উত্তমরূপে বন্ধ করিয়া এবং উহার মধ্যে কয়লার আগুন জ্বালিয়। রাত্রিকালে সেই স্ত্রীর নিক্স। যাইলে,প্রশ্বাস ও দাহন দ্বারা ৰে অঙ্গারক বায়ু উৎপন্ন হইয়া ঘরের মধ্যে জমা হয়, তাহীর নিশ্বাসে প্রাণের হানি হইতে পারে । এইরূপ ঘটনায় নিদ্রিত ব্যক্তির श् হইতে শুনা গিয়াছে । o কেহ বলিতে পারেন যে, এত সামান্ত পরিমাণ অঙ্গারক নাম্প নিশ্বাস দ্বারা গ্রহণ করিলে যদি মন্বয্যের মৃত্যু হয়, তবে,ভূমণ্ডলের অগণ্য মনুষ্য ও ইতর প্রাণীর প্রশ্বাস হইতে এবং পৃথিবীর সর্বস্থানের অগ্নিদাহন হইতে যে প্রচুর পরিমাণ অঙ্গারক বায়ু নিয়ত উৎপন্ন হইতেছে, তাছার দ্বারা অপকালের মধ্যেই পৃথিবীর সমস্ত জীব নষ্ট হইয়া যাইত কিন্তু প্রকৃতির এইরূপ আশ্চৰ্য্য নিয়ম, যে অঙ্গারক বায়ু জীবগণ প্রশ্বাস দ্বারা পরিত্যাগ করে তাছাই আবীর উদ্ভিজের আহার বলিয়া গ্রহণ করে। আমরা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, জীবের ন্যায় উদ্ভিজ্জেরও নিশ্বাসক্রিয়া আছে। জীৰগণ বায়ুর অম্লজান বায়ু শরীরে গ্রহণ করিয়া মঙ্গারক বায়ু ত্যাগ করে কিন্তু উদ্ভিজ অঙ্গায়ক ৰায়ু গ্রহণ করিয়া অম্লজান বায়ু ত্যাগ করে। এবং যে পরিমাণ অম্লজান ৰায়ু জীবের কার্ষ্যে আৰশুক হয়, ঠিক সেই পরিমাণ অম্লজান ৰায়ু উদ্ভিজ্জ হইতে উৎপর হুইয়। বায়ুর প্রকৃত বিশুদ্ধাৰন্থা সদত রক্ষিত হয়। জীৰগণ স্বেরূপ রাত্রি ও দিবস সকল সময়েই অম্লজান, বায়ু গ্রহণ করিয়া অঙ্গারক বায়ু পরিত্যাগ করে, উদ্ভিজ্জ সেরূপ করে না । দিবসে এবং রৌদ্রের দীপ্তিতে উদ্ভিজের পত্ৰসমূহ অঙ্গারক বাষ্প গ্রহণ করে এবং অম্লজান বায়ু ত্যাগ করে, কিছু রাত্রিকালে অঙ্গারক ৰায়ুর শোষণ-বন্ধ করিয়া পূৰ্ব্বগৃহীত অঙ্গারক বায়ু কিঞ্চিৎ পরিমাণে পরিত্যাগ করে । এই নিমিত রাত্রিকালে শয়নশ্বরের নিকট বা