পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ বঙ্গমহিলা । [২য় খ, ১ম সং । এবং মস্তিষ্কের তৈলময় অংশরূপে পরিণত হয় এবং কিয়দংশ স্বতন্ত্ররূপে শরীরের অভ্যন্তরে থাকিয়া যায়। এই সকল দ্রব্য শরীরের প্রয়োজনাধিক আহার করিলে কতক অংশ শরীরের ক্লার্য্যে ব্যয়িত হয় এবং অতিরিক্ত ভাগ মলের সহিত নির্গত হইয়া যায় । এই শ্রেণীর দ্রব্যের মধ্যে স্থত;ী:মাখন ও সরিষার তৈল •আমরা অধিক পরিমাণে ব্যবহার করিয়1 থাকি । বসা অণমরণ ব্যবহার করি না, কিন্তু ইয়োরোপীয় এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে উহা একটা বিশেষ অণহারীয় দ্রব্য । (৩) অগঙ্গার উদজান ও অম্লজানবিশিষ্ট পদার্থ নানাবিধ শ্বেতসার, শর্করণ, গোদ ইত্যাদি এই শ্রেণীভুক্ত। যদিও এই সকল দ্রব্য শরীরের নিতান্ত প্রয়োজনীয় নহে, কিন্তু প্রণয় সকল জাতির মধ্যে ইহু। বহুল পরিমাণে ব্যবহার হইয়ণ থাকে । দ্বিতীয় শ্ৰেণীস্থ পদার্থের ন্যায় ইহারাও শরীর মধ্যে তাপী উদ্ভাবন করে। অধিক পরিমাণে ব্যবহার করিলে ইহার বসায় পরিণত হয় এবং এই বস। অধিক পরিমাণে শরীর মধ্যে সঞ্চিত হইলে আমাদিগকে স্কুলাকার করিয়া ফেলে। শর্করণ অধিক পরিমাণে আহার করিলে অম্ল এবং বায়ু উৎপত্তি হইয়া পাক-কাৰ্য্যের বিশেষ অনিষ্ট করে এবং নানাপ্রকার রোগ উপস্থিত হয় । সাগু, আরাক্ট, টাপিওক। গোল আলু, চাউল ইত্যাদি দ্রব্যে শ্বেতসার অধিক পরিমাণে আছে। এই নিমিত্ত ইহার বহুমুত্র রোগে বিশেষ নিষিদ্ধ। (৪) নিজীব খনিজ পদার্থ, যথা লবণ, চূণ, জল ইত্যাদি। ইছারা ১ম ও ২য় শ্রেণীর দ্রব্যের ন্যায় শরীরের পক্ষে নিতান্ত প্রয়োজনীয় । আমাদের জীবনধারণের নিমিত্ত জল একটা প্রধান পদার্থ এবং উহা অধিক পরিমাণে আমাদের সকল অঙ্গেই বিদ্যমান আছে । চুণ প্রভৃতি কঠিন খনিজ পদার্থ দ্বারা অস্থি নিৰ্মাণ হয় । ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা দুগ্ধকে আদর্শ করিয়া খাদ্যদ্রব্য এইরূপ চার অংশে বিভক্ত করিয়াছেন । ছন্ধের উপাদান মধ্যে | এই চারি প্রকার পদার্থই দৃষ্ট হয়, যথা যবক্ষারজানবিশিষ্ট পদার্থ