পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रेञ्जTर्छ, २२४७ t] স্বাভাবিক সংস্কার । 8S প্রাপ্ত হওয়া যায়। মধুমক্ষিকারাও সেইরূপ উপায় অবলম্বন করে। উহার। নানাবিধ পুষ্প হইতে এক প্রকার সার্জরসিক (সর্জরস অর্থাৎ ধুনা সম্বন্ধীয়) পদার্থ আহরণ করিয়া মৃতজীবের গাত্রে প্রলেপ দিতে থাকে ; এরূপ করাতে তাহ হইতে কোন প্রকার দুর্গন্ধ নির্গত হয় না । শল্পকাদি মধুক্রম আক্রমণ করিলে, উহাদিগকে মারিবার নিমিত্ত আর এক উপায় অবলম্বন করিয়া থাকে। শম্বুকের গাত্র কঠিন আচ্ছাদনে আচ্ছাদিত থাকাতে হুলের দ্বার। আমুক্ত করিতে পারে না । এই নিমিত্ত পুষ্প হইতে আটায়ুক্ত পদার্থ আহরণ করিয়া শম্বুকের চতুঃপাশ্বে লাগাইয়। দেয় ; তাহ হইলে শম্বুক কঠিন আবরণ হইতে শরীর বহির্গত করিতে না পারিয়া অল্পকাল মধ্যে প্রাণত্যাগ করে । সকলেই বোধ হয় জ্ঞাত আছেন যে, মধুমক্ষিক দুই প্রকার ; পুং জাতি ও স্ত্রীজাতি । পুংমক্ষিকারণ নিতান্ত অলস, * তাহারণ কোন কার্ষ্যই করে না । স্ত্রীজাতিরাই চক্রের সকল কাৰ্য্য সম্পাদন করে । আহার সামগ্ৰী আহরণ, গৃহনির্মাণ, শিশুপালন, বিপক্ষদমনাদি নানাপ্রকার কার্ধ্যে তাহারণ সতত নিযুক্ত থাকে। প্রতি চক্রে সকল মধুমক্ষিক অপেক্ষ বৃহৎকায় একটা স্ত্রী-মক্ষিক। থাকে, তাহণকে ঐ চক্রের রাজী কছে । ঐ চক্র মধ্যে তাহার সম্পূর্ণ প্রভুত থাকে। রাজী-মক্ষিক যে সকল ডিম্ব প্রসব করে, তাহা হইতে অন্য রাজ্ঞী-মক্ষিক এবং পুং জাতীয় ও স্ত্রী জাতীয় মক্ষিকাসকল জন্ম গ্রহণ করিয়া থাকে। অপর স্ত্রীজাতিমক্ষিক। ডিম্ব প্রসব করিতে পারে না । আশচর্যের বিষয় এই যে, যে সকল অণ্ড হইতে রাজী-মক্ষিক জন্মগ্রহণ করে, সেই প্রকার আগু হইতে, লালনপালনের তারতম্য হেতু জননশক্তিহীন—স্ত্রীমধুমক্ষিক। জমিয়া থাকে। রাজী, অও প্রসব করিলে উহা হইতে স্ত্রীমক্ষিক প্রস্তুত করিতে হইলে শ্রমিক মধুমক্ষিকারণ ঐ ডিম্ব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠে স্থাপন করে এবং ইহাদিগকে অপ পরিমাণে খাদ্য প্রদান করে ; শাবক যতই কেন আণহারের জন্য লালগয়িত