পাতা:বঙ্গমহিলা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ, ১২৮৩ । ] বঙ্গ মহিলা । १¢ ১৩৮। এইরূপ হুহিতার পুত্র প্রথমতঃ আপনার মা তাকে পিণ্ডদান করিবে । তৎপরে পিতা ও পরে মাতামহকে পিণ্ড দান করিবে ? & ১৪৩। স্ত্রী স্বামীর অনুমতি না লইয়। পরপুৰুষযোগে পুত্ৰ উৎপাদন করিলে সে পুত্র বিষয় পাইবে না। কেন ন৷ এরূপ স্ত্রীকে ব্যভিচারিণী বলিয়ণ মনে করিতে হয় । ১৪৪। স্ত্রী স্বামীর অমুমতি লইয়াও যদি পবিত্ৰ মনে এইরূপ পুত্র উৎপাদন না করে তবে সে পুত্র ও বিষয়ের অধিকারী হইবে না । ১৪৫। আর যদিই, অহমতি লইয়। পবিত্র মনে ঐরুপ করে তাহা হইলেও সে পুত্ৰ ধাৰ্ম্মিক ও বিদ্বানু না হইলে বিযয় পাইবে না । ১৪৬। ভ্রাতার বিধবা স্ত্রীকে পালন ও তা হাতে বিধিপূৰ্ব্বক পুত্র উৎপাদন করিলে ঐ পুত্রের পঞ্চদশ বৎসর বয়ঃক্ৰম কালে. তাহার পূর্ব পিতার সমুদায় স্থা বর ও অস্থাবর পিষয় তাহাকে প্রদান করিতে হইবে । ১৪৭। স্ত্রী স্বামীর অক্ষমত হইয়া ও পরপুরুষ-সংযোগে রিপুচরিতার্থ করিবার অভিপ্রায়ে পুত্র উৎপাদন করিলে সে পুত্র বিষয়ের ক্তরাধিকারী হইবে না । অনন্তর মহাত্মা মন্ত্ৰ স্ত্রীদিগের কুল-মৰ্যাদার অনুসারে তা হাদের পুত্রকন্যাদির যেরূপ দায় মীমাংসা করিয়াছেন আমরা তাহার সমুদয় বিবরণ ন করিয়া কথঞ্চিৎ উল্লেখ করিতেছি । —কারণ সমুদায় বিবরণ আমাদের আবখ্যক হইতেছে না । মসুর সময়ে স্ত্রীপুৰুষ সম্বন্ধীয় সামাজিক নিয়ম কিরূপ ছিল নিম্ন-লিখিত কয়েকটা ধারণ পাঠ করিলে তা ছ। সবিশেষ বুঝিতে পার। যাইবে । ১৬৬। বিবাহিত স্ত্রীতে স্বামীর যে উৎপাদিত পুত্র এবং যাহাকে ঔরস পুত্ৰ কহে সেই পুত্ৰই কুলমৰ্য্যাদার সর্বপ্রধান । ১৬৭ ৷ মৃত, ক্লীব যা রোগীর ভার্য্যা অনুমতি লইয়। পরপুৰুষসংযোগে পুত্র উৎপাদন করিলে তা হাকে বাপের ছেলে না বলিয়। মায়ের ছেলে মনে করিতে হয় ।