পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

邵死初1 যে বাড়ীতে ঠহার বাসা, সেই বাড়ীর অদূরে একটা পুলিসের ফাড়ী । সেই ফাড়ীর সম্মুখে গোলমাল হইতেছিল। কে একজন বলিতে ছিল, “নকুল তোরা কেন ওটাকে রেখেছিস ? বদমাস । তাড়িয়ে দে ! চোর! তাড়িয়ে দে! পরোয়ানা আছে! গ্রেপ্তারী পরোয়: ! এতদিন জানা যায় নাই। ভারী ধড়ীবাজ ।” কে কাহাকে ঐ সকল কথা বলিল, জীবনবন্ধু তাহা বুঝতে পারিলেন । রামজীবন পাঠকের একটী পুত্রের নাম নকুলেশ্বর। সেই নকুলেশ্বর এক একবার ফাউীর জমাদারের কাছে যাইত, হিন্দুস্থানী গল্প শুনিত, জমাদার তাহাকে মিঠাই খাইতে দিত। নকুলেশ্বর আজিও জমাদারের কাছে আসিয়ছে, জমাদার তাহাকেই ঐ সকল কথা বলিতেছে। পূর্বে দুই তিনবার আভাষ পাওয়া গিয়াছিল, সুতরাং উহা বুঝতে জীবনবন্ধুর বাকী রহিল না। নকুলেশ্বর কিরূপ प्लेख्द्र দিল, তাহা তিনি শুনিতে পাইলেন না। চিত্ত যতদূর অস্থির হইতে হয়, তাহা হইল, জীবনবন্ধু আর দাড়াইয়া থাকিতে পরিলেন না, আবার আসিয়া সেই শয্যায় শয়ন করিলেন। প্ৰায় দেড়মাস নির্শিীষ্মে কাটিয়াছে, কোন উৎপাত ছিল না, হঠাৎ কেন এমন হইল ? কে আসিয়া এখানকার পুলিসে সেই মিথ্যা সংবাদটা প্রচার করিয়া দিল ? ভাবিতে ভাবিতে তিনি একবার উপর হইতে নামিয়া আসিলেন, রাস্তায় বাহির হইয়া যে দিকে গোলমাল হইতে ছিল, সেই দিকে অগ্রসর হইলেন। কেহ কোথাও নাই, সমস্তই পরিষ্কার! জীবনবন্ধু পুনরায় চিন্তাকুল-অন্তরে উপরে গিয়া উঠিলেন, শয়ন করিলেন। এ সংবাদ কাশীতে কিরূপে আসিল, অনেকক্ষণ এইরূপ চিন্তা। যখন তাহার বিপদ ঘটে নাই, তখন তিনি একবার শুনিয়াছিলেন, পলাতক আসামীর সন্ধান করিবার জন্য পুলিসের লোকেরা অনেক জায়গায় গোপনে গোপনে এক একৗা, খবর দিয়া রাখে, সেই নামের আসামী যেখানে যেখানে যায়, যেখানে যেখানে তাহার সম্বন্ধ, যেখানে যেখানে তাহার কোন আত্মীয়লোক থাকে, আসামী কোথায় আছে, সেই সেই স্থানের লোকেরা যদি লোক-মুখে কিম্বা পত্রদ্বারা সংবাদ পায়, তাহা হইলে তৎক্ষণাৎ নিকটস্থ পুলিস-থানায় যেন জানাইয়া আইসে। সেই কথা জীবনবন্ধুর মনে পড়িল, স্বগ্রামে রাতকান্ত মিত্রকে তিনি এক পত্ৰ লিখিয়াছেন, সেই কথা মনে পড়ল। তখন তিনি স্থির করিলেন, তাহাই ঠিক।