পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- , , পঞ্চম তরঙ্গ । । : ১২১ প্ৰত্যেক গাড়ীর আরোহিবৰ্গকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, “কোথায় . যাইবে ? কোথায় যাইবে ? কোথায় যাইবে ?” কে কি রকম উত্তর দিল, औषमा তাহা শুনিতে পাইলেন না; যাহারা জিজ্ঞাসা করিল, তাহারাও উত্তর গুনিবার অপেক্ষা করিল না। যে গাড়ীতে জীবনবন্ধু, সেই গাড়ীর দরজায় আসিয়া ফিরিঙ্গী তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিল, “কোথাকার টিকিট ?” জীবনবন্ধু বলিলেন, “কলিকাতার ” anwo বাস, ঐ পৰ্য্যষ্ঠ। সেই গাভীঃত আর যাহারা ছিল, তাহারা উত্তর করিবার অগ্ৰেই ফিরিঙ্গী, সে স্থান হইতে চলিয়া গেল। যে লোকটী নামিয়া গিয়াছিল, সে আসিয়া গাড়ীতে উঠিল, তিন মিনিট পরে গাড়ী ছাড়িল। . মোকামা-ঘাট, সেই ঘাটে জাহাজে পার হইয়া আরোহীরা পর-পারে আসিল, যাহার যেখানে যাইবার টিকিট, তাহারা অন্য গাড়ীতে উঠিয়া সেই সেই স্থলে চলিয়া গেল। জীবনবন্ধু ভাবিলেন, রাত্রে না যাওয়াই সৎপরামর্শ। মোকামাহোটেল পূর্বে তঁহার দেখা হইয়াছিল, সেই হোটেলেই রাত্রিবাস করিবেন, সেই ইচ্ছায় তিনি একাকী সেই হােটেলের দিকে চলিলেন যে লোকটী তাহার সঙ্গে অসিয়াছিল, সে কোথায় গেল, আর তিনি তাহাকে দেখিতে পাইলেন না। – – রাত্রি তখন অধিক হয় নাই, তথাপি হােটেল-বাড়ীর দরজা বন্ধ। রেলওয়ে ষ্টেশনের হােটেল তত শীঘ্ৰ বন্ধ হইল কেন, দরজার ধারে দাঁড়াইয়া জীবনবন্ধু অনেকক্ষণ ভাবিলেন, তাহার পর দ্বারে আঘাত করিলেন। অনেক ডাকাডাকির পর ভিতরদিকে একজন লোক আসিয়া কৰ্কশ আওয়াজে বলিল, “এ দরজায় নয়—এ দরজায় নয়-পূর্ব দিকের দরজায় যাও। সন্ধ্যাকালে এ দরজায় চুম্বীदी हश् ।।” . পূৰ্ব্বদরজা দিয়া জীবনবন্ধু প্রবেশ করিলেন, যৎকিঞ্চিৎ আহার করিয়া একটা । ছোড়া মাচুরের উপর শয়ন করিয়া রছিলেন। আহারের উপর্করণ চারি পাঁচখানি শুষ্ক রুটী আর ইলিস মাছের টক । তাহার খরচা তিন আনা । : প্ৰভাতে উঠিয়া, সেইখানে তিনি স্নান করিলেন, হােটেলের চাকর স্নান । করাইয়া দিল, তাহার খরচ তিন পয়সা । বেলা দশটার গাড়ীতে তিনি রওনা। হইলেন, পথে আর কোথাও নামিলেন না, সরাসরি হাওড়ায় আসিয়া পৌঁছিলেন। Sve