পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুঁই ঘূণা করেন। আর তিনি সে বাড়ীতে থাকিলেন না, একে একে আরও দশ বাড়ী বেড়াইলেন, কোথাও আব্দর পাইলেন না। কেহ কেহ তাঁহাকে দেখিয়া লুকাইল, কেহ কেহ সম্মুখে আসিয়া • জিজ্ঞাসা করিল, “বাড়ীর ভিতর তুমি কোন প্রবেশ করিয়!ছ?” কাহারও কোন কথায় উত্তর না দিয়া জীবনবন্ধু। %, অভিমানে বাহির হইয়া আসিলেন। এক বাড়ী হইতে যখন তিনি বাহির হন, সেই সময় শুনিলেন, একটা গবাক্ষ হইতে একজন বলিল, “থাক তুমি, বাগাইতেছি।” গ্রামের ভাবভক্তি বুঝিয়া জীবনবন্ধু আপনি বাড়ীতে ফিরিলেন। আপন বাষ্ঠী তখন তঁহার পক্ষে অধিক ভয়ঙ্কর স্থান। স্ত্রী, ভগিনী, পুত্র, ভূত্য সকলেই যেন পুলিস অপেক্ষাও প্ৰবল-প্ৰতাপ ধারণ করে। পুত্র একদিন বলিয়াছিল, “পুলিস-কেস” রক্ষা করিবার উপায় নাই, বঁধিয়া দিতে হইবে।” পিতার চক্ষের সম্মুখে দাড়াইয়া পুত্র ঐ সকল কথা বলে নাই, অসাক্ষাতে দৰ্প করিয়া বলিয়াছিল ; জীবনবন্ধু তাহা শুনিয়া বসনে নেত্রমার্জন করিয়াছিলেন। গ্রামের লোকের পূর্বে তাঁহার সদগুণের পক্ষপাতী ছিল, এখন তাহাদের ব্যবহার দেখিয়া । তিনি বুঝিলেন, সে পক্ষপাতিত কেবল মৌখিক, অন্ত-র অন্তরে তাহারা সকলেই তাহার হিংসা করিত, কোন সুযোগ পায় নাই বলিয়া সে সকল হিংসা মনের ভিতর চাপিয়া রাখিয়াছিল। এখন তাহারা বুঝিয়াছে, জীবনবন্ধু বিপদগ্ৰন্ত, তাহাতে छॉशिंग्रज्ञ BD DBDDS DDBBD DDDD DDB KDDS DDD তিনি বঁাশ পড়েন, যাহাতে তিনি জেলে যান, তাহদের সকলেরই সেই ইচ্ছ। । , ६ छोरुनबच्नु গৃহে আসিলেন। শান্তিলাভের জন্য। সকলেই গৃহে যায়, অশান্তির অনলে দগ্ধ হইবার জন্তু জীবনবন্ধুর গৃহে যাওয়া। স্ত্রী ঝঙ্কার কুরিয়া উঠিল, ভগিনী গালগালি দিলেন, পুত্র মুখ বঁকাইয়া চলিয়া গেল। জীবনবন্ধু ভাবিলেন, ঘরে অ্যালিলে অধিক জ্বলিতে হয়। পূৰ্ব্বে যাহারা সুহৃদ ছিল, তাহারা ‘এখন তাঙ্গার পরিবারস্থ লোকগুলিকে মন্ত্রণা দিয়া, যাহাতে তিনি অধিক ক্লেশ পান, তাহাই শিখাইয়া দিয়াছে। জীৰ প্ৰবন্ধুর দিবারাত্রির মধ্যে আর নিদ্রা হয় না। পূৰ্ব্ব-সুহৃদাবর্গের মধ্যে একজন তাহার ভগ্নীকে বলিয়া গিয়াছে, “নিদ্ৰা না হইলে বায়ুরোগ শীঘ্ৰ আরাম হয়। উহাকে ভাল বিছানায় গুইতে দিও না, বিছানার উপর বালি ছড়াইয়া দিও, আমিষমিশ্ৰিত জল বিছানায় ঢালিয়া দিও।” জীবনের ভগিনী জাহাই করিতেছেন, জীৰনবন্ধু আর ঘুমাইতে পারেন্তু না। ’