পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিলেন, সেই অবস্থায় তাহার শ্রবণেন্দ্ৰিয়, দর্শনেস্ক্রিয় এবং ৰাগিঙ্গিয় বিকল “হইয়াছিল, মহা যন্ত্রণাভোগ করিয়া তাহার প্রাণপক্ষী উড়িয়া গিয়াছে। ক্ষেতরোগে প্ৰায় এক বৎসর যন্ত্রণাভোগ করিয়া জটাধারী সরকারও ইহ-সংসার পরিত্যাগ করিয়াছে। মৃত্যুর একমাস পূর্বে তলহার জিহবা পচিয়া পািচয়া খসিয়া গিয়াছিল। নারায়ণকে নমস্কার করিয়া, আকাশের পানে চাহিয়া, জীবনবন্ধু। ভাবিলেন, “পৃথিবীতে মানুষের দত্ত দণ্ড-তত্ত দূর ফলোপধায়ক হয় না, ভগবানের দত্ত দণ্ডই প্রকৃত দণ্ড। কোন পাপের কিরূপ দণ্ডবিধান করিতে হয়, শুভগবান ৩.হা. জানেন, পৃথিবীর লোকে সেরূপ সুবিচার জানে না৷ ” জীবনবন্ধু আরও ভাবিলেন, ঈর্ষা-বশে অকারণে আঁহাকে বিপদে ফেলবার মূল ছিল জটাধ্যায়ী সরু কার, তাহা তিনি জানিতে পারয়ছিলেন। পণ্ডিতেরা বলেন, সৰ্প যাহাকে দংশন করে, কেবল সেই লোকের মৃত্যু হয়, ঋলেরা অপরের কুর্গমূলে দংশন কািরয়া অপরলোকের প্রাণবনাশ করে, অতএব সৰ্প অপেক্ষ : খািল ভয়ঙ্কর । খািল জটাধারী ভবতারণের কৰ্ণমূলে দংশন করিয়াছিল, পুলিসের কৰ্ণমূলে দংশন করিয়াছিল, তাহাতেই ভঁাহার (জীবনবন্ধুর ) মহাবিপদ উপস্থিত হয়। তিনি কাহাকেও অভিসম্পাত করেন নাই, অথচ ভগবানের সুবিচারে অবজ্ঞারণ জটাধারী উভয়েই সমুচিত প্ৰতিফল প্ৰাপ্ত হইল। প্রকৃতির নিখিল সংসারের এই একটা মহৎ উপদেশ। స్ట్క সংসারের প্রতি জীবনবন্ধুর বিরাগ জন্ধিয়াছিল, তিনি আর গৃহে গমন ক্ষৰিয়া স্ত্রী-পুত্রের মুখ দেখেন নাই, গ্রামের লোকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন নাই, বিপ্লাগী। হইয়া কোথায় চলিয়া গিয়াছিলেন, তাহারও উদ্দেশ নাই। ·ba·la·