পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

पर्छ ङब्रन्न । N ব্যবসায়ী লোকেরা পূজার উৎসবে বিলক্ষণ লাভবান হয়, এই কারণে দুর্গোৎসবকে জাতি-সাধারণ পৰ্ব্ব বলিয়া স্বীকার করিয়ালওয়া যায়। আজকাল বাহ অঙ্গগুলি বজায় আছে, বরং দিন দিন স্বাড়িতেছে, কুৎসিত অঙ্গ প্রবল হইতেছে, বৎসর বৎসর নূতন নূতন ফ্যাসনের পুষ্টিবৰ্দ্ধন হইতেছে। যাহাঁদের বাড়ীতে মহামায়ার আগমন হয়, তঁহারা মুখে বলেন দুর্গোৎসব ; কিন্তু মনে মনে অনেকেই ভবেন দুর্গাদায়। পূজার তিনটী দিন কাটিয়া গেলে তাহারা যেন নিশ্বাস ফেলিয়া বঁচেন । কুৎসিত অঙ্গের কতদূর প্রবলত হইয়াছে, একে একে দেখাইয়া দিতে হইলে দুর্গা-পূজা-পদ্ধতি অপেক্ষাও বৃহৎ পুথি প্ৰস্তুত হইতে পারে। সাত্বিকভাবের পরিবর্তে তামসিক ভাবের এতদূর আধিক্য হষ্টয়াছে যে, সাহেবের বাজনা বাজাইবে, সাহেবের নিমন্ত্রণ পাইয়া ভোজন করিতে আসিবে, সাহেবভোজনের জন্য বিবিধ মাছ-মাংসের আয়োজন হইবে, ব্ৰাহ্মণ-সজ্জনের জন্য কেবল ফল-জল-তান্থলের ব্যবস্থা হইবে, বাই-খেম্টা নাচিবে, আলিবাবা, আলাদীন ও আবু হাসেনের অভিনয় হইবে, সহরের অনেক বড়লোকের বাঙ্গীতে দুৰ্গা-পূজায় এইরূপ বন্দোবস্ত। যে বড়মানুষের বাড়ীতে সাহেবের আদর ও সাহেবের সংস্রব না থাকে, ফ্যাসন-প্রিয় লোকেরা সে বাষ্ঠীর পূজাকে পূজা বলিয়াই গণনা করে না। সাহেব লোকের বড় আদর, পূজার সময় সাহেবেরা বাজনা বাজাইবে, রিসার্জনের সময় সাহেবের ছত্র-চামর ধরিবে, সাহেব প্রহরীরা আগে আগে ছুটিবে, তবে বাবু লোকের আমোদ বাড়িবে। ব্রাহ্মসমাজের উজ্জল রত্ন স্বৰ্গ বাবু রাজনারায়ণ বনু একদা একটা বক্ততা করিয়া বুলিয়াছিলেন, “আৰ্য গৃহের প্রায় সমস্ত ক্রিয়া-কলাপেই সাহেবের সমাদর দৃষ্ট হইতেছে। ইহার পর এতদূর হইয়া পড়িবে যে, গোরারা লুচি না ভাজিলে হিন্দুর কোনও কার্ঘ্যে ঘটা হইবে না।” রাজনারায়ণ বসুর এই ভবিষ্যদ্বাণী শীঘ্র একদিন এই দেশে সফল হইবে, রঙ্গভঙ্গ, দেখিয়া আমাদের এইরূপ বিশ্বাস দাড়াইতেছে। মনে হয় যেন, সাহেৰে লুচি ভাজিয়া না দিলে মা দুৰ্গরি ভোগ হইবে না । , যাহাদের বাড়ীতে পূজা হয়, ভঁহাদের মধ্যে অনেকে কেবল বাহু আমোদে রত থাকেন, ইয়ার-বন্ধু লইয়া আমোদ করিবার জন্য র্তাহারা দুৰ্গা-পূজার আড়ম্বর করিয়া থাকেন, এরূপ দৃষ্টান্ত দেখিতে পাওয়া যায়। একবার এক বাড়ীতে