পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ তরঙ্গ। বৃদ্ধির চেষ্টা পাইয়া। থাকেন, কলিকাতার আভ্যন্তরিক তত্ত্ব পরিজ্ঞাত না থাকিয়াও রাণী পদ্মাবতী সেইরূপ পদ্ধতুির আদর করিতে ভালবাসিয়াছেন। ঠাকুরসেবার জন্য যেখানে পঞ্চাশ টাকার বরাদ্দ, খেমটা-নাচ, বাইনাচ, যাত্ৰা, রোসনাই। এবং অপরাপর বাহাঙ্গে সেখানে পঞ্চাশের দক্ষিণাঙ্গে একটী শূন্ত (*) অঙ্ক?" পাত করা হয়। বিষ্ণু মহিমার পরিচয় এই পৰ্য্যন্ত। : ' ' , '

  • শাক্তমতে দুৰ্গা-পূজা। ।

যে দিনের কথা বলা হইতেছে, সে দিন। রথযাত্রা রাণীবাড়ীর প্রতিমার, কাঠামাে-প্রতিষ্ঠা হইয়ছে, কাঠামোতে সিন্দুর-চন্দনাদির পরিবর্তে বিলাতী । পােমেটাম-লেভেণ্ডারাদি লেপন করা হইয়াছে। কৃষ্ণনগরের কারিকর। বঙ্গদেশের পাঠক-মহাশয়েরা সকলেই জ্ঞাত আছেন যে, কৃষ্ণনগরের কারিকরগণকে । যিনি যেরূপ পুত্তলিকাদি গঠন করিবার ফরমাজ করেন, তাহারা অতি পরিপাটীরূপে তাহাই সম্পাদন করিয়া দেয়। দেবতা হইতে ভূত-প্রেতি পৰ্যা ख गभरङ গঠনেই কৃষ্ণ গরের কারিকরেরা চিরবিখ্য তু। : কথিত, আছে, নবদ্বীপাধিপতি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র একদা একজন বৃদ্ধ কারিকরকে ডাকাইয়া হস্তি করিয়া বলিয়াছিলেন যে, “পালের পৌ, তুমি ত সকল প্রকার গঠনেই পরিপক, কিন্তু আমাকে কোন একটা আশ্চৰ্য দৃষ্ঠ দেখাইতে পার কি না ?” বৃদ্ধ পাল করষোড়ে উত্তর করিয়াছিল “মহারাজের যদি অন্ত মতি হয়, তিন পক্ষ পরে তাহা আমি দেখাইতে পারি।” মহারাজ তাহাতেই সম্মতি প্রকাশ করিয়াছিলেন। । সেই বৃদ্ধ কারিকরের প্রকৃত নাম এখন স্মরণ হইতেছে না, মনে করুন, তাহার নাম উদ্ধব পাল। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র সেই উদ্ধবকে সপ্ল্যভাবে সম্ভাষণাদি করিতেন, এক এক সময়ে মহারাজ সেই উদ্ধবের সঙ্গে সতরঞ্চ-খেলা করিতেন। যেদিন তিন পক্ষ অতীত হইবার শেষদিন, সেই দিন অপরাঙ্কে উদ্ধব পাল একটা গরদের যোড় পরিধান করিয়া, প্রায় অৰ্দ্ধহস্তপরিমিত একখানি সোণার কবচ বাহুদেশে সংলগ্ন করিয়া, সোণার মাদুলিগ্ৰািখত রুদ্রাহ্মমালা গলায় দিয়া মহারাজের বৈঠকখানায় আসিয়া উপস্থিত হয়। সতরঞ্চখেল চলিতে থাকে। প্রথম বাজীতে উদ্ধব পালের জিত। মহারাজ কিছু বিমর্ষ। প্রাচীন উপকথায় আমাদের শুনা আছে, সে কালের রাজার প্রায়ই এক একটা গুরুতর বিষয় রাজভোলে ভুলিয়া থা কতেন। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তিনপক্ষ পূৰ্ব্বে উদ্ধাব পালকে