পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, थर्थव सृश्च। ye পাই। এই হতভাগ্য বঙ্গদেশে আশামত কাৰ্য্যানুষ্ঠান প্রায়ই দৃষ্টিগোচর হয়। না। দিন দিন যেরূপ দেখা যাইতেছে, সভার বক্ততার ফলে যেরূপ শুভ ফল দাড়াইতেছে, তাহতে শঙ্কা হয়, বাঙ্গালী ভদ্রলোকের কন্যার বিবাহ মহাসঙ্কটাপন্ন। হইয়া উঠিল। কিন্তর বিবাহে অসঙ্গত বায়বাহুল্য আছে বলিয়া, রাজপুতানার কোন কোন জাতি স্মৃতিকাঘরে কান্ত হনন করে, ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্ট ঐ প্রকার কুমারীহত্য-নিবারণের উদ্দেশে বিস্তর প্রয়াস পাইয়াছিলেন, এখনও পাইতেছেন, কিন্তু কিছুতেই কিছু করিয়া উঠিতে পারিতেছেন না। বিহার-প্রদেশের সমাজ-হিতাকাঙ্ক্ষা মুনসী প্যারীলাল ঐ প্রকার বিবাহের ব্যয়লাঘবের অনেক চেষ্টা পাইয়াছিলেন, তিনিও কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। বাঙ্গালীর সভা ও বক্ততা অপেক্ষা প্যারীলালের উদ্যম ও চেষ্টা অনেকাংশে অধিক ছিল, তথাপি তাহাকেও বিফলপ্ৰযত্ন হইতে হইয়াছে। বরকর্ড অধিক টাকা গ্ৰহণ করেন, কেবল ইহাই নহে, বিবাহের ব্যয় অনেক প্রকারে বাড়িয়া উঠিয়াছে। বড়মানুষের বিবাহে ইংরাজী বাঙ্গ, রোসনাই, আতসবাজী ইত্যাদি বাজে খরচ অনেক হয়, সেই দৃষ্টাস্তে সামান্য গৃহস্থেরা ঋণগ্ৰস্ত হইয়াও সেই প্রকার অপব্যয় করিতে বাধ্য হইতেছেন। স্রোত কোথায় কমিবে, তদবিপরীতে বরং দিন দিন নানা বিষয়ে নানাপ্রকার অপব্যয় বৃদ্ধি পাইতেছে। কেবল শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনি করিয়া যাহাদের বৈবাহিক মঙ্গলাচার সম্পাদিত হইত, অবস্থাবিশেষে র্যাহারা ঢোল, সানাই ও রোসনচৌকি বাজাইয়া কিঞ্চিৎ ঘটা করিতেন, তঁহাদের পুত্ৰ-কন্যার বিবাহেও এখন ইংরাজী বাদ্য না হইলে চলে না। ইংরাজী বাদ্য ব্যতীত বিবাহ যেন অসিদ্ধ হয়, ইহাই এক প্রকার ংস্কার হইয়া দাঁড়াইয়াছে। সাধারণ ইংরাজী বাদ্যযন্ত্রে কি সুর, কি তাল, কি মধুরতা প্ৰাপ্ত হওয়া যায়, তাহা আমরা বুঝি না ; উচা বরং এক প্রকার রণবাদ্য বলিলেই ভাল মানায়। যে বাদ্য শ্ৰবণ করিলে লোকের মনে ভয় হয়, মঙ্গলকাৰ্য্যে সেই প্রকার বাদ্যের প্রচলন কেন হইয়াছে, তাহাও বুঝা যায় না। অধুনা এই রাজধানীমধ্যে বেঙ্গাপুত্রের বিবাহেও ইংরাজী বাস্থ্যকর-সম্প্রদায় দৃষ্টিগােচর হয়, মঙ্গলাচার না বলিয়া, উৎসব না বলিয়া উহাকে এক প্রকার রোগ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। এই রোগই এক প্রকার গডালিকা প্রবাহের অন্তৰ্গত বলিলেও বলা যায়। বড় বড় লোকে যাহা করেন, সামাষ্ঠ সামান্য গৃহস্থেরাও সেই দৃষ্টাস্তের অনুগামী হইয়া চলেন, এই কথা যখন মনে হয়, তখন বলিতে ইচ্ছা হয়,