পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাবে না। স্বাধীনতা প্ৰদায়িনী সভায় যখন বক্ততা হয়, তখন གྲོ་ཊི་ཆུ་ནི་ উপস্থিত ছিলেন। রত্নেশ্বরবাবু নবরঙ্গিণীকে শাস্ত্ৰকথা বুঝাইবেন, এই কথা, শুনিয়া তাহার আনন্দ হইল ; আহ্লাদ পূর্বক তিনি তাহাতে অনুমোদন করিলেন রত্নেশ্বরবাবু কুঞ্জবিহারীর বন্ধু, এ কথা এখানে প্ৰকাশ থাকুক। শাস্ত্রের উপদেশ শুনাইবার নিমিত্ত রত্নেশ্বরবাবু প্রতি সপ্তাহে দুই দিন করিয়া নবরঙ্গিণীর সহিত সাক্ষাৎ করেন। একঘণ্টা কাল উভয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। নবপ্লঙ্গিণী স্বাধীন জেনানা, তাহার তর্ক নারী-স্বাধীনতার অনুকূলে, রত্নেশ্বরের তর্ক তৎপ্রতিকুলে। কেবল যে সেই তৰ্কই হয়, কেবল সেইরূপ উপদেশ দেওয়াই যে রত্নেশ্বরের সঙ্কল্প, তাহা মনে করিতে হইবে না ; যুৱতী স্বাধীন । কুলাঙ্গনার সহিত প্রেমালাপ করিতেও রত্নেশ্বরের আনন্দ হইত। নবরঙ্গিণী সুন্দরী, বিদুষী, আঁহার নয়নের কটাক্ষভঙ্গী অতি সুন্দর ; তঁহার তর্কের বাক্যগুলিও অতি মধুর ; রত্নেশ্বরবাবু বাস্তবিক তর্কে ঠকিলেন না, কিন্তু ঠকিবার সাধ হইল, ছয়মাস যুদ্ধ কররা রঙ্গিণীর নাগপাশে বাধা পড়িলেন, ইচ্ছা করিয়াই ঠকিলেন। আসিবার নিয়ম হইয়াছিল সপ্তাহে দুই দিন; ক্ৰমে ক্রমে সে নিয়ম উল্টাইয়া গেল। রঙ্গিণীর ইচ্ছাতে রত্নেশ্বর প্রতিদিন সন্ধার পর দর্শন দিতে লাগিলেন। রঙ্গিণীর ইচ্ছা বলা হইল, কিন্তু রত্নেশ্বরের ইচ্ছাও সেই ইচ্ছার সহচরী। দুইজনে বেশ মিল হইল। দু-দিন পাঁচদিন কথার কৌশলে একটু একটু মনের ভাব ব্যক্ত করিয়া শেষে একদিন রত্নেশ্বর বলিলেন, “রগিণি! এখানে কি তুমি অক্ষুন্ন মনের সুখে আছে ? স্বাধীনতার তর্কে তোমার কাছে আমি পরান্ত হইয়াছি, নারীজাতির স্বাধীনতা থাকা লাল, এতদিনের পর তাহা আমি বুঝিয়াছি। ভূমি স্বাধীন, তাহার পরিচয় তুমি কি দেখাইতেছ? মুখে কেবল স্বাধীনতার গৌরব করিলে স্বাধীনতার মানরক্ষা হয় না, কাৰ্য্যে দেখাইতে হয়। কার্ঘ্যের মধ্যে দেখিতেছি, তুমি ঘোমটা খুলীয়া ফেলিয়াছ, আমাদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নাই, অথচ স্বচ্ছন্দে হাসিয়া হাসিয়া আমাদের সঙ্গে কথা কহিতেছ, ঘোমটানিবারিণী সভা করিয়াছ, স্বাধীনতা-প্ৰদায়িনী সভা করিয়াছ, এই পৰ্য্যস্তই পরিচয় बिनाई ; আসল পরিচয় কিছুই দিতে পার নাই।” SS SS S S L রাঙ্গণী । কেন পারি নাই ?