পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se 碑褒锣1 করেন। একান্নভূক্ত পরিবার দর্শন করিলে আনন্দের উদয় হয়। ৫ অকে। BB BDBDBD DDiD DiBS Bg DD D DBDBS BDBBDB BD DBDBS পোষ্য, সেখানে সুখেয় পরিবর্তে দুঃখেরই অধিক অধিকার। দশ জনে যদি কিছু কিছু উপার্জন করিয়া এক সংসারে সম্ভাব রাখিয়া বাস করিতে পারেন, কেহ কাহারও গলগ্ৰহ না হন, তাহা হইলেই সংসারগুলি শান্তিময় হয়। এখনকার দিনে ভ্রাতৃগণের বিবাহ হইলে প্রায়ই সে শান্তি আর থাকে না, পূৰ্ব্বে পূর্বে আমাদের সংসারে শ্বশ্ৰাননদিনীয় কর্তৃত্ব থাকিত, এখন অনেক ংসারে তঁহারা যেন দাসী, বধূগণেরই প্ৰায় একচেট আধিপত্য। অনেকেই বলেন, “এখনকার বধূরা, ঘর ভাঙ্গিবার গুরু ; এই কারণে তাঁহাদের উপনাম শয্যা-গুরু!” .... কথার কথা বলিতে হয়, সেই জন্যই লোকে বলে, এমন মনে করিতে নাই। কাৰ্য্য যেরূপ হইতেছে, সকলে যেরূপ দেখিতেছেন, তাহাতে ঐ কথার খণ্ডন করা বড়ই কঠিন। এইখানে আমরা একটা গল্প বলিব। বোধ হইবে যেন গল্প, বাস্তবিক কল্পিত অথবা রচিত গল্প নহে, প্রকৃত ঘটনা । ঘয় ভাঙ্গিবার গুরু বলিয়া বধূগণকে নিমিত্তেৰ ভাগিনী করা হয়, কিন্তু । বিশেষরূপে বিবেচনা করিয়া দেখিলে বধু অপেক্ষা বধূস্বামীগণকেই মূলাধার বলিয়া প্ৰতীয়মান হইবে । এই গল্পটী পাঠ করিয়া, পাঠক-মহাশয়েরা এই অনর্থকর বিষয়ের উত্তম তাৎপৰ্য্য বুঝতে পরিবেন। . . হুগলী জেলার অন্তঃপাতী চৈতন্যপুর গ্রাম। সেই গ্রামে প্রভুরাম মিত্র নামে একজন সন্ত্রান্ত কায়স্থ বাস করিতেন। তঁহার পাঁচটী পুত্র। প্রভুরাম । বৰ্ত্তমানে বাড়ীতে দোল-দুর্গোৎসবাদি ক্রিয়া-কলাপ হইত, সংসারে শান্তি विक ब्रिङ, গ্রামের সমস্ত লোক প্রভুরামের প্রশংসা করিতেন, সকলেই তাহার বাধ্য ছিল। তঁহার জমীদারীতে বার্ষিক নুনাধিক দশ সহস্র মুদ্রা আয় হইত। যখন তঁহার মৃত্যু হয়, তখন জ্যেষ্ঠ পুত্রের বয়ঃক্রম দ্বাদশ বর্ষ, ; দ্বিতীয়ের দশ বৎসর, তৃতীয়ের আট বৎসর, চতুর্থের, ছয় বৎসর, পঞ্চমটার টারি বৎসর মাত্র। সকলগুলিই নাবালক । তাহদের জননী সেকালের গৃহিনীদের মত কেবল গৃহকাৰ্য্যেই নিপুণা ছিলেন, লোকজনকে ভোজন করাইতে, ব্যবহার মত ধৰ্ম্মকর্শের অনুষ্ঠান করিতে, সংসারের সুব্যবস্থা করিচ্যুত ।