९२२ 電帶顎咬勁1 মোসাহেব প্ৰতিধ্বনি করিয়া বলিয়াছিল, “আঞ্জে হাঁ, মিত্ৰেয় পুকুরের জল বড় ভারী ; এতঃ ভারী যে, এক ঘটী তোলে, কাহার সাধ্য, ” এইরূপ প্রতিধ্বনি করিবার ক্ষমতা যাহাঁদের থাকে, তাহারাই বাঁবু লোকের উপযুক্ত মোসাহেব হয়। বুচুবাবুর মোসাহেবদলে সেরূপ মোসাহেব দুটী একটী মিলিয়াছিল। তাহাঁদের মধ্যে একজন একদিন প্ৰস্তাব করিল, “বাবুর নামটী ভাল মানাইতেছে না, বুচুবাবু বলিলে যেন বিদ্রুপ করা বুঝায়, অতএব ঐ নামটী বদল করিয়া নূতন নাম দেওয়া উকী-বেচুবাবু।” তাহাই হইল। শৈশবের বেঁচো, কৈশোরের বুচু, যৌবনকালে মোসাহেবের মুখে বেচু হইলেন। হইলেন বটে, কিন্তু মোসাহেবেরা তাহাকে নাম ধরিয়া বায়ু বলিত না, গৌরব করিয়া তাহারা বলিত শুধু “বাৰু।” । বাবুকে লইয়া মোসাহেবেরা নিত্য নিত্য নব নব রঙ্গে নব নব খেলা করিতে আরম্ভ করিল । বাবুর বাল্যস্বভাবের অনেক পরিবর্তন হইয়া আসিয়াছিল, ক্ৰমে ক্ৰমে সে পরিবর্তন আবার এক নূতন পরিবর্তনে উল্টাইয়৷ আসিল। কিছু দিন তিনি শিষ্ট-শান্ত হইয়া ছিলেন, এই সময়ে বাবু উপাধি লাভ করিয়া দুরন্ত হইলেন। শিশুকালে মাতা-পিতার অবাধ্য ছিলেন, ঘনে বনে বেড়াইতেন, ঘরবাসী হইতেন না, এখন আবার নূতন (রাগে ধাঁরল। মাথার উপর ভর করিবার কেহ না থাকিলে ভাল শিক্ষার অভাব থাকিলে যৌবনকালে যে রোগটা প্রবল হয়, বেচুবাবুকে সেই রোগটা আক্রমণ করিল। মাতা তাহা জানিতে পারিয়া অনেক বুঝাইতেন, বেচুবাবু তাহাতে মহা ক্রুদ্ধ হইয়া মাতাকে গালাগালি দিতেন, বাড়ী ছাড়িয়া চলিয়া যাইব বলিয়া ভয় দেখাইতেন। শিশুকালে বাড়ী ছাড়িয়া পলাইয়া গিয়াছিল, আবার যদি যায়, সেই ভয়ে তাহার মাতা DBDD iD DBB DS DB DDuD BDD BBB DBDB BBDBD i করিয়া থাকিতেন । কিছু দিন পরে বেচুবাবুর একটী কন্যা হইল। তরঙ্গিণী সেই কন্যাটী লইয়া রাত্রিকালে শয়ন করিয়া থাকিতেন, ইয়ার-বক্স লইয়া বেচুবাবু অন্যস্থানে আমোদ করিয়া বেড়াইতেন। কন্যাটী যখন এক বৎসরের, সেই সময়ে বেচুবাৰু সংসার পরিত্যাগ করিবার সংকল্প করিলেন। বুদ্ধদেব যেরূপে সংসার ত্যাগ করিয়াছিলেন, চৈতন্যদেব যেরূপে সংসার ত্যাগ করিয়াছিলেন, তাদৃশ
