পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

rv বঙ্গরহস্য । বুক ঠুকিয়া বেচারাম বলিলেন, “কুচ পরোয় নেই!” মোসাহেবেরা বলিল, “কুচ পরোরা নেই!” মোসাহেবের মুখে খবর পাইয়া নিত্য নিত্য দালাল । জুটিতে লাগিল, বেধড়ক হ্যাগুনোট আরম্ভ হইল, সুন্দ শতকরা পঞ্চাশ টাকা । বিশেষ বিশেষ দরকার পড়িলে পাঁচ শত টাকা লইয়া হাজার টাকার নোট লিখিয়া দেওয়া চলিতে লাগিল। প্রাগমের গতিক দেখিয়া যাহারা বেচারামকে কাপ্তেনবাবু বলিয়া বুঝিয়াছিল, তাহদের অনুমান সার্থক হইল। সত্য সত্যই বেচারামবাবু একজন কাপ্তেনবাবু হইলেন। t কাপ্তেনী অবস্থায় বেচারাম সিংহ মনের সাধে হলধরের ও মকরধ্বজের পূজা করিলেন। থিয়েটারের অভিনয় দর্শন করা অতিশয় বাড়িয়া উঠিল। রজনী ফাক যায় না। অভিনয়াবসানে এক একটা সুন্দরী নায়িকার গুহে বেচারামের রাসলীলা হয়। এক রজনীতে যোড়শোপচারে বলরামের সেবা করিয়া বেচারাম উপরের সিড়ি হইতে নীচে নামিতেছিলেন, হঠাৎ পা পিছ লাইয়া পড়িয়া যান, মাঝের তিনটী সিঁড়ি গড়াইয়া গড়াইয়া চতুর্থ সিড়ির উপরে শুষ্টয়া পড়েন। পা-দুখানি স্বভাবতঃ সরু সরু ছিল, সুতরাং একখানি পা অচল হইল, জানুদেশের হাড় ভাঙ্গিয়া গেল। বিলাসমন্দিরে প্রবেশের সময় মোসাহেব সঙ্গে থাকিত না, ধরে কে ? বিলাসিনীর একজন বেহােরা তাহকে কোলে করিয়া গাড়ীতে তুলিয়া দিল, বাসায় পৌঁছিলে সহিস-কোচ মানেরা ধরাধরি করিয়া উপরে তুলিল। একমাস চিকিৎসা হইল, হাড় যোডা লাগিল, কিন্তু বেদন ঘুচিল না, গ্ৰন্থস্থান ফুলিয়া রহিল ; একগাছি মোটা লাঠীতে তিনি ভর দিয়া অতিকষ্টে উপর হইতে নীচে নামিঠোন, নাচে হাতে উপরে উঠতেন, তথাপি একজন লোকের স্কন্ধ অবলম্বন করিতে হইত। এই ভাবে এক বৎসর গেল। কাগুন চাল বেশী দিন চলে না ; একদিন বেচারাম বাবু পাঁচ ইয়ার লইয়া অ্যাপন বৈঠকখানায় বলরাম-পূজা করিতেছিলেন, সেই সময় একজন লোক সেই বৈঠকখানার মধ্যে ঐ বেশ করিয়া একবার বাবুর দিকে চাহিল, একবার वांश्cिनद्र দিকে চাহিল। বেলা তখন পাঁচটা বাজিতে দশ মিনিট বাকী ; খোঁড়া হইলেও বেগারামের বায়ুসেবন এবং যামিনীযোগে কামিনী-লোভে থিয়েটার দর্শন বন্ধ ছিল। , न। cनाशक পরিং, প্লাঠি হাতে করিয়া, বাৰু যখন বৈঠকখানা হইতে বাহিরু হইবার উপক্রম করেন, ঠিক তাহার পূর্বক্ষণে সেই নুতন লোকটী শীঘ্র শীঘ্ৰ নামিয়া