পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

q夺怀冲5颈鄂1 象8@ বালকগণের সহিত খেলা নাই, আমোদ-কৌতুক কিছুই নাই। ক্ষুধা হইলে DBDBD BDDDBBD BBB BDK BB DD DS LBD DB BBBDD DDS জল চাহে না, নিদ্ৰা আসিলে ধূলাতেই শয়ন করিয়া পড়ে ; সেইটুকু ছেলে ংসারের সকল বিষয়েই যেন উদাসীন। যোগমায়াদেবীর নিরুদ্দেশের পর তঁহার পিতাঠাকুর মহাশয়ের একটা শক্ত পীড়া জন্মিয়াছিল, প্ৰায় দুই বৎসর সেই ব্যাধি যন্ত্রণা-ভোগ করিয়া তিনি লোকান্তরে গমন করেন। ভবিরত্ন তঁহাকেও কতক কতক চিনিয়াছিল, তিনিও চলিয়া গেলেন, ভবিরত্বের চক্ষে সমস্তই অন্ধকার। মাতামহী ছিলেন না, দুটা মাতুল ছিল, তাহারা বিদেশে চাকরী উপলক্ষে পরিবার লইয়া বাস করিত, সংসারে কিছুমাত্র সাহায্য করিত না ; অধিক কথা কি, বৃদ্ধ পিতার সংবাদমাত্র লাইত না । তাহদের ভরসা মিথ্যা ? তাহার যে ভগিনীপুত্রকে বাটীতে রাখিয়া প্রতিপালন করিবে, সে আশা ছিল না। যোগমায়ার একটি মাসী ছিলেন, তিনিই তখন সেই সংসারের একমাত্র অভিভাবিক। তবরত্ন তঁহাকে মানিত না, তঁহার কথা শুনত না, তিনি ডাকিলে নিকটে যাইত না, হাত ধরিয়া আদর করিতে আসিলে বালক অধীয়া হইয়া কঁাদিয়া ভাসাইত। অতি নিকট-প্ৰতিবাসীর মধ্যে একজন ভট্টাচাৰ্য্য ছিলেন, তঁহার নাম রঘুনাথ তর্কবাগীশ । সম্পর্কে তিনি যোগমায়ার মাতুল হহঁতেন, যোগমায়ার মাসী তাঁহাকে দাদা বলিয়া ডাকিতেন। মাসীর নাম সৰ্ব্বমঙ্গলা । ভবিরত্নের অবাধ্যতা শ্ৰবণ করিয়া তর্কবাগীশ মহাশয় একদিন সর্বমঙ্গলাকে বলিলেন, “দেখ মঙ্গলা ! ছেলেটীকে পাঠশালে দাও ; সাত বৎসর বয়স হইয়াছে, আর কি। মা বাপ নাই বলিয়া ছেলেকে মুখ করিয়া রাখা ভাল কথা নয়। আরও কি জানো, পাঠশালে না দিলে ঐ রকমে বেদাবি হইয়া যেখানে সেখানে বেড়াইবে, কোন দিকে ছুটিয়া পলাইবে, কোথায় কবে কি রকমে হয় তো বিশ্বোরে মারা যাইবে, সেটাও তো ভাবিতে হয়। পাঠশালে দাও । সকাল বিকাল দুই বেলা সেখানে আটক থাকিবে, বেশী দৌরাত্ম্য করিতে পারবে না , অধৰাশ অল্প হইলেই ক্রমে ক্ৰমে ঠাণ্ড হইয়া আসিবে।” । མ་ সপ্তমখাঁয় বালক ভবিরত্ন পাঠশালে প্রেরিত হইল।” সেই পাঠশালে যিনি শিক্ষা দিতেন, তিনি ভবন্ধুত্বের পিতৃকুলের পরিচয় জানিতেন। ভারত্ন আঁহার :