পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cባቕÍሻዛ Né¶ጓቐ ! २8१ পূর্বে বলা হইয়াছে, ঐ পাঠশালার গুরুমহাশয়ট ভবরত্বের পিতৃকুলের পরিচয় জানিতেন। ইতিমধ্যে একদিন ডাকযোগে তিনি একখানি পত্ৰ পান ; পত্রখানি দীর্ঘ, পত্রে অনেক কথা লেখা ছিল ; গুরুমহাশয় সেই দীর্ঘ পত্ৰ পাঠ করিতে করিতে পুনঃ পুনঃ ভােবরত্বের দিকে কটাক্ষপাত করিয়াছিলেন, এক এক সময় তঁহার চক্ষে জল আসিয়াছিল। কারণ কি, তাহ কেহ জানিতে পারেন। নাই, গুরুমহাশয়ও কাহাকে কিছু বলেন নাই। সৰ্ব্বমঙ্গল যে দিন ভােবরত্নের গৃহে যাইবার বিলম্ব দেখিয়া অন্বেষণের নিমিত্ত পাঠশালায় উপস্থিত হন, গুরুমহাশয় সেই দিন তঁহাকে বলেন, “ভবিরত্ন আর তোমার কাছে। যাইবে না, উচ্চশিক্ষার জন্য ভবরত্নকে একটিী উত্তম স্থানে পাঠাইতে হইবে ; ভবরত্নের অতি নিকট-আত্মীয় একটা ভদ্রলোক সমস্ত ব্যয়ভার বহন করিবেন, এইরূপ অঙ্গীকার করিয়াছেন। যত দিন সেখানে প্রেরণ কবিবার সুবন্দোবস্ত না হয়, তত দিন ভবরত্ন আমার কাছে থাকিবে । তুমি গৃহে গমন কর, ভবিরত্নের জন্য তোমার কোন চিন্তা নাই ; ভবিরত্ন সেখানে সর্বপ্রকার সুখে বাস করিবে। উদ্বেগ ত্যাগ করিয়া তুমি গৃহে চলিয়া যাও।” ভবরত্ন সেইখানেই উপস্থিত ছিল, তাহার দিকে চাহিতে চাহিতে নেত্ৰজাল মার্জন করিতে করিতে সৰ্বমঙ্গলাদেবী অগত্য তথা হইতে একাকিনী ফিরিয়া, আসিলেন, গুরুমহাশয়ের আশ্রমে ভবিরত্ন রহিল। r নদীয়া জেলার গঙ্গাতীরে ভবানন্দপুর। শান্তিপুরের দক্ষিণাংশে ঐ নামে একখানি গ্রাম ছিল, সে নাম এক্ষণে বদল চুইয়া গিয়াছে, বিশেষতঃ কয়েক বর্ষব্যাপী মারািভয়ে তথাকার ভদ্র ভদ্র অধিবাসী লোকেরা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে উঠিয়া গিয়াছেন, গ্রামের অধিকাংশ স্থান এক্ষণে নিবিড় জঙ্গলে পরিপূর্ণ। ভােবরত্নের পিত্ৰালয় ছিল সেই ভবানন্দপুরে, সেই ভবানন্দপুরেই ভােবরত্বের জন্ম, এই কারণেই ভবানন্দপুরের ভবিরত্ন চৌধুরী পরিচয় দেওয়া হইয়াছে। ভােবরত্নের মাতামহাশ্রম হুগলী জেলার গঙ্গাতীৱে । ভবরত্ন এখন কোথায় ? সৰ্বমঙ্গলাদেবী গুরুমহাশয়ের পাঠশালা হইতে গৃহে চলিয়া গেলেন, গুরুর আশ্রমে ভবিরত্ন রহিল, এই পৰ্যন্তই বলা হইয়াছে, তাহার পর দশ বৎসর কাল ভবিরত্ন কোথায় ছিলেন, সংবাদ পাওয়া याग्न बाड्ने ।