পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&8 ৰঙ্গরহস্থ। । বিধবা-বিবাহ। ] বিদ্যাসাগর, মহাশয়ের বিধবা-বিবাহ শাস্ত্রসন্মত হইয়াছিল, ইহা প্ৰতিপন্ন স্কয়িহার জন্য তিনি অল্প আয়াস স্বীকার করেন নাই। “নষ্টে মৃতে প্ৰব্ৰজিতে কীবে চ। পতিতে পতীে” পরাশর-সংহিতার এই বচনটী উদ্ধার করিয়া তিনি বঙ্গীয় বিধবার দ্বিতীয়বার বিবাহে অনুমোদন করিয়াছিলেন। পরাশরের ঐ বচনের মধ্যে বিধবার বয়সের কোন বিশেষরূপ নির্দেশ নাই, অথচ বিদ্যাসাগর মহাশয় অক্ষত-যোনির পক্ষে বিবাহ বিহিত, এই যুক্তি অবলম্বন করিয়া বিচার করিয়াছিলেন। র্যাহারা বিধবা-বিবাহের বিরোধী, তাহার উপহাস করিতে উৰ্দ্ধবাহু হইয়াছিলেন, যাহারা একটা কোন নূতন হুজুগ প্রাপ্ত হইলে উল্লাসে, কৌতুকে ও আমোৰে উন্মত্ত প্ৰায় DDS DBBBDDDBH DBDBBD S BBDDYS DBB DDDBBSS সেই मभाश्न दसअtिठू এক গীত উঠিয়াছিল “সাত ছেলের মা পতি পাৰে, আহলাদেতে আটখানা।” এখন বিবেচনা করিতে হইবে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অক্ষত-যোনির প্রস্তাব ঐ হুজুগের মহাসাগরে ডুবিয়া গিয়াছিল। যে কয়েকটা বিধবা-বিবাহ হইয়াছে, সমাজে চলুক। আর নাই চলুক, সেই সকল বিবাহে বয়সের বিচার করা হয় নাই। আমাদের সামাজিক বিষয়ে ইংরাজ রাজপুরুষের হস্তক্ষেপ করিতে নারাজ, কিন্তু সমাজের লোকেরা নিজেই উস্কাইয়া তুলিয়া তুলিয়া ইংরাজকে তদ্বিষয়ে হস্তক্ষেপকরণে বাধ্য , করিয়াছেন । গোটাকতক ৰ্যাপারে তঁহারা অযথারূপে হস্তক্ষেপ করিয়াছেন। সে সকল কথা এ প্রবন্ধে আলোচ্য নহে, কেবল বিধবাবিবাহের কথাই বলিতে হইল। “ধরি মাছ, না। ছুই পণি” এই যে একটী কথা আছে, অনেক বিষয়ে ইংরাজেরা তাহার দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শন করেন। বন্ধে বিধবা-বিবাহ তয় হউক, আমরা কিছু ৰিলিব লা, বিবাহ দাও কিম্বা বিবাহ দিও না, আমরা এ প্রকারের কোন আইন করিব না, তবে উভয় পক্ষের সম্মতিতে যেখানে বিবাহ অর্ধারিত হইবে, সেখানে বিপক্ষপক্ষ কেহ কোন প্রকার হাঙ্গামা করিতে উচ্চত হইলে পুলিস মোতায়েন হইয়া শান্তিরক্ষা করিবে, এইরূপ তঁহারা আজ্ঞা দিয়াছিলেন। ছিপ ফেলিয়া মাছ ধরিলে জলই স্পর্শ করতে হয় না, ডাঙ্গা হইতে জাল ফেলিয়া মাছ ধরিলে জলস্পর্শ করিতে হয় না, হাতসুতা ফেলিয়া মাছ ধরিলে জল স্পর্শ করিতে হয় না, উল্লিখিত প্রবাদবাক্যেয় এই তিন প্রকায় প্রতিপ্ৰসাৰ । ইংরজের প্রতিগ্ৰসবৰ্মন্ত্রে বিলক্ষণ অভ্যন্ত। বিধৰ-বিবাহ-সম্বন্ধে আঁহারা যে প্রকার