পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰয়োদশ তরঙ্গ । ****** ' ३६१ বিশেষতঃ ধৰ্ম্মের ভাবে তাঁহাদের উদারতা অতি অল্পই প্ৰকাশ পায় ; গীতের - পদে পদে আত্মবিশ্বাসের অনুরূপ এককথাই বারংবার ; ঐরূপ উড়ন, পাড়ন, { চৰ্ব্বিত-চৰ্ব্বণ, বোধ করি, কাহারও কৰ্ণে তৃপ্তিকর বোধ হয় না। যদি আপনি । বলেন, তাহা হইলে আমি দুটী চারিটীি গীত লিখিয়া দিই, তাহাই আপনি যন্ত্রের সঙ্গে মিলাইয়া কামিনীগণকে শিক্ষা দিবেন। আমার বিরচিত সঙ্গীতে প্ৰভু যিশুর মহিমাও থাকিবে, অথচ রাগ-রাগিণীও অঙ্গহীন छद्देहद मा ।” বায়ুর ঐ কথায় বিবির প্রাণে কোনরূপ আঘাত লাগিল কি না, তাহা বুঝা গেল না, কিন্তু কথার সুত্ৰ ছাড়িয়া দিয়া বিবি জিজ্ঞাসা করিলেন, “প্ৰভু જીિখৃষ্টর নামে আপনার কি আন্তরিক বিশ্বাস আছে?” বাবু উত্তর করিলেন, “সাধুপুরুষের নামে বিশ্বাস না রাখা মূর্থের কাৰ্য ।” বাবুতে বিবিতে যতক্ষণ কথা হইল, তিনটী বধু আর বাবুর ভগ্নীটী ততক্ষণ । বাবুর মুখপানে অনিমেষে চাহিয়া রহিলেন, বিবির মুখের দিকে চাহিলেন না। এইখানে আমাদের সামাজিক ব্যবহারের একটী ক্ষুদ্র তর্ক। হিন্দু-ব্যবহারানুDBD DBDBS DDDS DDBSBDDB BBDuD SBDB DBBD BDBBDB DBDBD S অনাবৃত-বদনে থাকেন না, যে তিনটী বধু সেখানে छै*श्ङि, उन्मएक्षा বড়বন্ধু | ভিন্ন অপর চুটী বধুর ভাস্কর ঐ বড়বাৰু; ভাঙ্গুরের সম্মুখে ঐ দুটী বধু গীত গাঁহিলেন, সংপ্ৰতিভ-নয়নে ভাসুরের মুখপানে চাহিয়া রহিলেন, লজ্জায় জলা- ? জলি দিলেন, অবগুণ্ঠনের মান রাখিলেন না, ইহা বড় চমৎকার। নূতন শিক্ষার । সঙ্গে সঙ্গে অবগুণ্ঠনের ব্যবহার উঠিয়া যাইতেছে, সহরের অনেক গৃহেই এইরূপ ৷ দেখা যায়। এই একটী নূতন পরিবর্তন। আর একটী পরিবর্তন কিঞ্চিৎ ৷ মৃদুৰ্গতিতে হিন্দু-পরিবারমধ্যে প্রবেশ করিতেছে। হিন্দু রমণী গুরুজনের নাম | ধরেন না, বঙ্গসমাজে বহুদিবসাবধি এই ব্যবহার প্রচলিত ; অধুনা সেই ব্যবহার : অল্পে অল্পে তিরোহিত হইতেছে। খণ্ডার, ভীম্বর, মামাখণ্ডর প্রভৃতি নামের } সহিত স্ত্রীলোকের সম্বন্ধ অল্প, কিন্তু আজকাল অনেক যুবতী কামিনী স্বামীর । নাম ধরিয়া ডাকে, জিজ্ঞাসা করিলে উত্তর দেয়, “সাহেব-বিধির ব্যবহারে ঐক্সপ চলে, আমাদের বেলায় কি দোষ? পতির” নাম ধরিয়া ডাকিলে । স্নেহ প্ৰগাঢ় হয়, গ্ৰীতিভাব উজ্জ্বল হইয়া প্ৰকাশ পায়; এই জন্যই সভ্যসমাজে।