পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नशि-< j * বিবাহের পর জন্ম, জন্মের পর নাম-করণ । অন্নপ্রাশনের সময় জন্মদক্ষত্রানু, সারে রাশি নিরূপিত হয়, রাশি অনুসারে শিশুর একটি নামকরণ হয়, সেই নামের নাম রাশিনাম। সচরাচর রাশিনামগুলি অপ্রকাশ থাকে ; মাতা-পিতা আদর করিয়া যে একটী নাম দেন, সেই নামেই পরিচয় হয়। সেই নামকে ৬াকনাম বলে। আমাদের দেশে এত দিন এই প্ৰথাই চলিয়া আসিতেছিল, ইংরাজী শিক্ষাপ্রভাবে তাহার ব্যতিক্রম ঘটিয়াছে। র্যাহ্বার:ইংরাজী শিখিতেছেন, তঁহার দেখেন, সাহেবের দুই একটী অক্ষর লিখিয়া উপাধিযোগে নাম স্বাক্ষর করেন। অক্ষরগুলিকে খ্ৰীষ্টান নাম কহে। এ দেশে সে রীতি নাই, বাঙ্গালী যুবকেরা ইংরাজী অনুকরণে সেই রীতি অবলম্বন করিতেছেন। কিছুদিন পূৰ্ব্বে দুটা দুটী ইংরাজী অক্ষরের সহিত উপাধি যোগ করা হইত। যথা—পি, সি, চ্যাটার্জি ; এন, সি, ব্যানার্জিা; ডবলিউ, সি, ব্যানার্জি ; টি, এন, মুখার্জি, পি, ডি, ভট্টাচার্জি ; আর, জি, দত্ত ; আর, এম, হালদার ইত্যাদি ইত্যাদি। এখনও ঐরূপ দুই অক্ষরে নাম লিখিবার ব্যবহার আছে, কিন্তু কেহ কেহ ততটা বৃন্ধটিও স্বীকার করিতে চাহেননি ; সপক্ষেপে একটা ইংরাজী অক্ষর লিখিয়াই উপাধি বের্গ করিয়া দেন। এই নূতন রীতির প্রচলনকৰ্ত্তা ডাক্তার দ্বারকানাথ গুপ্ত। ম্যালেরিয়া জ্বরের ঔষধ আবিষ্কার করিয়া, বোতলের গায়ে তিনি লিখিতে আরম্ভ করেন, ডি, গুপ্ত ; হাণ্ডবিলে এবং অপরাপর বিজ্ঞাপনেও ডি, গুপ্ত লেখা আরম্ভ হয় ; ক্রমে ক্রমে দেশময় ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে, ডি, গুপ্ত, ডি, গুপ্তের ঔষধ । এ দেশের লোক চিরদিন হুজুগ ভালবাসে, ঐ একটা নূতন হুজুগ পাইয়া। যুবকেরা এমন কি, বালকেরা পৰ্যন্তও একাক্ষরে নাম লিখিতে আরম্ভ করে।