ته د چاه ته د 鲁曼楼 , *寶零f: “এত পাপ সৰু হইৰে কেন? দর্শনারায়ণের টাকার জোরেই ঐ মিখা মকদ্দমী উঠিয়াছিল। আগাগোড়া মিথ্যা। ভৃগুরাম টাকা পাইয়াছিল, সাক্ষায় টাকা পাইয়াছিল, উকীলেরা টাকা পাইয়াছিলেন, বারিষ্টার টাকা পাইয়াছিলেন, সমস্তই দর্পনারায়ণের টাকা । পুলিশের লোকেরা কিছু কিছু সেলামী পাইয়াছিল। কি না, তাহা প্ৰকাশ পায় নাই। পুরন্দরবাবুর বাড়ীর রাখাল আনন্দ সর্দার ও ভারত মণ্ডল উভয়েই দর্পনারায়ণের টাকা খাইয়া, চাকুরী ছাড়িয়াছিল, তাহাও প্ৰকাশ পাইল । । বাৰু পুরন্দার বাবুলী প্ৰায় খুনদায়ে পড়িতেছিলেন, প্ৰসন্নমুখী তীহাকে রক্ষা করিল। মকদ্দমায় সসন্মানে অব্যাহতি লাভ করিয়া পুরন্দরবাবু প্ৰসন্নমুখীকে। কিছুদিন আপনি বাড়ীতে আনিয়া স্থান দিলেন, সহস্ৰমুদ্রা পুরস্কার দিলেন, আপন কন্যার ন্যায় যত্নে রাখিলেন। প্ৰসন্নমুখীকে দেখিলেই তিনি মনে করিতেন, এই প্ৰসন্নমুখী প্রকৃতই অমৃতমুখী ( নাগের পত্নী নাগিনী হয়, ভৃগুরাম নাগের পঞ্জী প্ৰসন্নমুখী নাগিনী। নাগিনীদের মুখে হলাহল থাকে, এই নাগিনীর মুখে অমৃত বর্ষে । কিছুদিন আপনি বাড়ীতে যত্নে রাখিয়া প্ৰসন্নমুখীকে তিনি তাহার প্রিত্ৰালয়ে পাঠাইয়া দিলেন। প্ৰসন্নমুখী স্বামীগৃহে যাইতে স্বীকৃত হইল না। ওদিকে ফৌজদারী আদালত নূতন মকদ্দমা ;-মূল মকদ্দমার পালটা মকদ্দমা। একে একে সকল কথাই প্ৰকাশ হইয়া পড়িল, গোড়া পৰ্য্যন্ত টান পড়িল। বাবু দর্পনারায়ণ গাঙ্গুলী আর বীরভদ্র ভট্টাচাৰ্য্য আসামী-শ্রেণীভুক্ত হইলেন। পাছে আবার রামকুমার ভট্টাচাৰ্য্যকে তলব হয়, সেই ভরে রামকুমার দেশ ছাড়িয়া পলাইল। পুরন্দরবাবুরু জেলে অথবা দায়মালে পাঠাইয়া দর্পনারায়ণ সত্যনারারণের সিঙ্গী দিবেন স্থির করিয়া রাখিয়াছিলেন, সত্যনারায়ণ তঁহাকে ঘৃণা করিয়া তাহার সিঙ্গী গ্ৰহণ করিলেন না। ধৰ্ম্মের কৰ্ম্ম ধৰ্ম্মই সম্পাদন করেন, ধৰ্ম্মের ঢাক আপনিই বাজিয়া উঠে। প্ৰসন্নমুখীকে কেহ আদালতে হাজির করে নাই, ধৰ্ম্মেয় উপদেশে প্রসন্নমুখী নিজেই হাজির হইয়াছিল। । দায়রার মকদ্দমার প্রথমদিন রজনীযোগে দর্পনারায়ণবাবু আপনি বাড়ীতে মজলীল করিয়া দশজনেরঙ্কুকটে আত্মশ্লাঘা প্রকাশ করিয়াছিলেন। যাহারা তাহাঁকে বেষ্টন করিয়া বঁসিয়াছিল, উপকার পাইত বলিয়া তাহারা ভঁহার খােসাদুমাঙ্গ করিক্ত ; ভূস্তরে অন্তয়ে তাহারা কেহই তীখার প্রতি সন্তুষ্ট ছিল না। সেই