পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83 *珂十 থিয়েটার ব্যথা বলিতে বলিতে কি একটু চিন্তা কৰিয়া নীলম্বরবাব বলিলেন, } “এইখানে আমার আর একটা কথা মনে পড়িল। যে সকল বঙ্গযুবক উন্নতিশীল নাম ধারণ করেন, সেই দলের প্রধান হইতেছেন, কৈশব সম্প্রদায়। সেই সম্প্রদায়ের একজন প্ৰবীণ বক্তা একদা এক সুললিত বক্ততায় বলিয়াছিলেন, “আমারদিগের বেশ্যাভগিনীগণ একবার কুপথে ঢলিয়া পড়িয়াছেন বলিয়া আর যে তঁহাদিগকে শোধন করিয়া লওয়া যাইতে পারে না, যুক্তিতে এমন আটাসে না । বেশ্যাভগিনীগণের বিবাহ দিতে পারিলে অবশ্যই তঁহাদের চরিত্র শোধিত হইতে পারে।” সেই বক্ততার গুণে বক্তার দুই একটী বেশ্যাভগিনী বিবাহ করিয়াছিল, কিন্তু সতীত্ব সেই সকল কলুষিত কলেবর স্পর্শ করে নাই, বক্তার coil डशिनौर्थ जड़ी क्षेड १ांद्र नहैि।” রঙ্গলালকে লইয়া সরকার ফিরিয়া আসিল । রঙ্গলালের মুখ বিগুষ্ক। বাৰু তাহাকে প্রহার করিতে উদ্যত হইয়াছিলেন, নীলাম্বরবাবু প্ৰহার করিতে দিলেন না। ;-বারান্তরে প্রহর হইবে বলিয়া, থিয়েটারে যাইতে নিষেধ করিয়া দিলেন। মাথা হেঁট করিয়া রঙ্গলাল বাড়ীর ভিতর চলিয়া গেল। থিয়েটারের গল্প শুনিতে শুনিতে পুরন্দরবাবুর কৌতুক বাড়িতেছিল, নীলাম্বরবাবুকে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “কলিকাতার থিয়েটারের আর কোন নিগুঢ় তত্ত্ব। আপনি কি অবগত আছেন ?” নীলাম্বরবাবু কহিলেন, “অনেক আমি জানি। প্রথম প্ৰথম যখন থিয়েটাৰ হয়, তখন অনেকগুলি প্ৰবীণ লোক তাহ দেখিতে যাইতেন, এখন আবৃত থিয়েটারের আসনে প্রায়ই তেঁহাদিগকে দেখিতে পাওয়া যায় না, এখন কেবল পূর্ববঙ্গের সৌখীন লোকেরা আর আমাদের বিদ্যালয়ের বালকেরাই থিয়েটারের আসন পূর্ণ করিতেছে। বালকের পূর্বে পূর্বে লেখাপড়ার কথা আলোচনা করিতে করিতে রাস্ত দিয়া চলিয়া যাইত ; এখন তৎপরিবর্তে সকলের মুখেই থিয়েটারের কথা, অভিনয়ের কথা, নায়িকাদের বিশেষ বিশেষ নামের কথা ; সকলের হস্তেই এক এক বড় বড় হাণ্ডবিল! এতদ্বারা বিশেষ অনিষ্ট ঘটিতেছে, অনেক বালকের চরিত্র নষ্ট হইতেছে। বিশেষতঃ যে সকল নবীন যুবক থিয়েটারদর্পণে আপনাদের মুখচ্ছবি দর্শন করিয়া আমোদের আকর্ষণে থিয়েটারের দলের সহিত বন্ধুত্ব করিতেছেন, থিয়েটারের সাজঘরে গোপনে তঁহারা যে সকল কাৰ্য্য