পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sy বঙ্গরষ্টপ্ত। করেন । প্রবেশিকা-পরীক্ষা দিবার সময় ধতিগুলি ছাত্র পরীক্ষাগারে উপস্থিত হয়, তাহদের শারীরিক অবস্থা দেখিলে দুঃখোদয় হইয়া থাকে। সকলেই প্রায় কৃশ, । সকলেরই *?ti? န္ဈ বিশুষ্ক, সকলেরই t2 চক্ষু কোটরগত, সকলেই প্ৰায় বিবর্ণ। জিজ্ঞাসা করিলে বোধ হয় জােনা 7ইতে পারে, নিশা-জাগরণে অতিরিক্ত গরিশ্রমে কাহারও কাহারও শরীরে উৎকট রোগ প্ৰবেশ করিয়াrছ। প্রথম-পরীক্ষার যখন এইরূপ দৃশ্য, তখন ক্রমণ: পৰ্যায়াতুযায়ী উচ্চ উচ্চ পরীক্ষায় পরীক্ষর্ণিগণেৰ শরীর আরও অধিকতর জীৰ্ণণীর্ণ দৃষ্ট হয়। স্বাস্থ্যের প্রতি র্যাঁহাদের কিঞ্চিৎ বিঞ্চিৎ লক্ষ্য থাকে, কঁহাদের শরীর কতক পরিমাণে হৃষ্টপুষ্ট দেখায় বািট, কিন্তু তাহারাও কোন প্ৰকার বিশেষ শ্রমসাধ্য কাৰ্য্যে অপটু, ইহা বিলক্ষণরূপে বুঝতে १। याम्र। ব্যায়াম, ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি ক্রীড়ায় শরীর বলিষ্ঠ রাখিতে যাহারা প্ৰয়াস পান, সাধারণতঃ তাছাদের পক্ষে তাহাও এক প্রকার বিড়ম্বন । বালকেরাই বলে, "ফুটবল না খেলিলে শরীর কেমন মাটী মাটী করে, মন কেমন উড় উড় করে, ব্যায়াম দণ্ডে ন! বুলি লে গাত্রে বেদন উপস্থিত হয়।” এ সকল - কথার তাৎপৰ্য্য কি ? ক্ৰীড়াসক্ত বালকের ক্রীড়া-কৌতুক ভালবাসে, খেলাকে তাহার খেলা বলিয়া জানে। তাঁহাদের ব্যায়ামচৰ্চাদি কেবল খেলাতেই পরিণত হয়, বিশেষ উপকার কতদূর দর্শে, বালকগণের চেহারা দর্শন করিলেই তাহা বুৰিয়া লওয়া যাইতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাৰ্ত্তীর্ণ ছাত্ৰগণের মধ্যে শতকরা পচিশ জনকে যদি হৃষ্টপুষ্ট দর্শন করা যায়, তাহাই আমরা যথেষ্ট মনে করি। তাহাদিগকে দেখিলেই আমাদের মনে কিছু কিছু আনন্দ জন্মে ; অবশিষ্ট ছাত্রগুলির জন্য অশ্রপাত করিতে হয়। এত পরিশ্রম করিয়াও তাঁহারা জীবিকা-অৰ্জনে অক্ষম হন, লোকের দ্বারে দ্বারে চাকরীর জন্য উমেদারী করেন, বিফলমনোরথ হইয়া অথৰ্ব্ব স্থলবিশেষে উপহাসাম্পদ হইয়া ফিরিয়া আইসেন, বড়ই দুঃখের বিষয়। লাভের মধ্যে বিদ্যাশিক্ষার পরিশ্রমের ফলে অনেককে স্বাস্থ্যহীন হইয়। শব্যাগত থাকিতে হয়, ইহাও সামান্য আপশোষের কথা নহে। I চাকরী এত দুৰ্লভ হইতেছে কেন ? সাহেবেরা এ দেশে চাকী নে কল্পতরু, তবে কেন শিক্ষিত যুবকেরা আশামত চাকরী পাইতেছেন না ? ইহার | কারণ এই যে, কলিকাতা সহরেই চাকরী অধিক, মফস্বলে এক একটী সদয়