পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዶ · ጓቐፃ %ቫመ † •» নিরীক্ষণ করিয়া গভীর-বদনে কহিল, “সত্যই তা বটে ! চক্ষু দুটা ভয়ানক লাল । হইয়াছে, অকস্মাৎ এমন ভাৰ কেন হইল, বুঝা যাইতেছে না।” একজন বলিল । "ভূতে পাইয়াছে।" বাবু উরু চাপড়াইয়া হান্ত করিয়া কহিলেন, “সেই কথাই ; ঠিক। চাঁপা ফুলের গাছে ভূত থাকে, কল্য সন্ধ্যার সময় জীবনবাৰু চাপাতলায় । বসিয়াছিল, ভূত নামিয়া আসিয়া ঘাড়ে চাপিয়াছে।” : , অনেকে অনেক রকম মন্তব্য দিল, সকলের কথাতেই বাৰু হাসিয়া হাসিয়া আমোদ করিলেন। অধোবাদনে জীবনবন্ধু ত্ৰিয়মাণ। একে একে সেইখানে অনেকেই আসিল, অনেকেই জীবনবন্ধুর জন্য আপশোষ করিল, তাহায় সকলেই স্নান করিতে চলিয়া গেল। জটাধারী আসিল না। বাৰু স্নান করিয়া রুদ্রাক্ষমালা লইয়া পূর্বকথিত বেদীর উপর জপ করি বসলেন, জীবনবন্ধু বরান্দায় দাড়াইয়া রহিলেন। বেল প্ৰায় ১১টা, সেই । সময় আর একজন ফিরিঙ্গী আসিল। প্ৰাতঃকালের ফিরিদী শ্বেতবর্ণ, এখনকার ফিরিঙ্গীটা কৃষ্ণবর্ণ। বাবুর নিকটে না গিয়া জীবনবন্ধুর নিকটে আসিয়া সেই কৃষ্ণবর্ণ ফিরিঙ্গী অগ্ৰে একটা সেলাম দিল, তাহার পর আপনার পেটে হুইবার হাত বুলাইল। জীবনবন্ধু ভাবিলেন, লোকটা হয় उ. ६, ফুধা হইয়াছে, হয় ত কিছু থাইতে চায়, ইঙ্গিতে তাহাই জানাইতেছে। মনে মনে এইরূপ অনুমান করিয়া ফিরিঙ্গীকে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কি চাও?” . . . . . লোকটা বোবা ছিল না, প্রশ্নের উত্তরে বাঁকা বঁকা বাঙ্গাল কখায় বলিল, “খিচুড়ী খাইতে চাই।” আশ্রমের সকলেই জীবনবাবুর কথা শুনিত, বাবুদের আহার-সামগ্ৰী আনিয়া দিবার অগ্রে একজন ভাণ্ডারী আসিয়া স্থান প্রস্তুত করিবার ব্যবস্থা করিয়া ঘাইত। ফিরিঙ্গীর সহিত জীবনবাবুর কথা হইতেছিল, সেই সময়ে। সেই ভাণ্ডারী আসিয়া উপস্থিত। ফিরিদীর দিকে “অদুলী নির্দেশ পূৰ্ব্বক জীবনবাবু সেই ভাণ্ডারীকে কহিলেন, “使 गांप्री খিচুড়ী খাইতে চান, ইহাঁকে একটা সিধা দিবার ব্যবস্থা কর।” কুঁড়ি । কেহই আত্ন ঠাফার কথা শুনিবে না, ” জীবনবাবু তাহ জানিতেন না। সৈইখানে দাড়াইয়া” থাকিল। প্ৰাতঃকালের শ্বেত ফিরিঙ্গী যেমন: জীবনবাবুর :